আমি অধিকারের কথা বলতে এসেছি-
প্রয়াত বিশ্বজিতের দেহ ভস্ম থেকে,
আমি এসেছি-
যশোরের অভয়নগরের নির্যাতিত হিন্দুপল্লী থেকে,
আমি এসেছি-
ফেনীর নিরীহ জেলে পল্লী থেকে।


আমি অধিকারের কথা বলতে এসেছি-
নোয়াখালীর কালিকাপুর আর পটুয়াখালীর বাউফল
থেকে,
আমি এসেছি-
দিনাজপুরের শিশু ধর্ষিতার পরিবার থেকে।


আমি অধিকারের কথা বলতে এসেছি-
প্রয়াত পুরোহিতদের দেহ ভস্ম থেকে,
আমি এসেছি-
হবিগঞ্জের ধর্ষিতা গৃহবধূর পরিবার থেকে,
আমি এসেছি-
ভূমি বেহাত হয়ে ভূমিহীন হওয়া পরিবার থেকে।


আমি অধিকারের কথা বলতে এসেছি-
নাসিরনগরের মহাধ্বংস স্তুপ থেকে,
আমি এসেছি-
উদবাস্তু হওয়া সাঁওতাল পল্লী থেকে;
আমি এসেছি-
চট্টগ্রামের নির্যাতিত প্রতিবাদী হিন্দুদের পক্ষ থেকে,
আমি অধিকারের কথা বলতে এসেছি-
সমগ্র বাংলার নির্যাতিত জনগণের পক্ষ থেকে।


আমি অধিকারের কথা বলছি বলে-
আমি বিদ্রোহী,
আমায় আখ্যা দাও উগ্রবাদী;
আজ প্রশ্ন জাগে-
তোমরা কেমন মানবতাবাদী?


আমাদের মৌনতা-নিরবতা কেড়ে নিয়েছে
আমাদের নিরাপত্তা আর অধিকার;
আমি প্রতিবাদী,
আমি বলি অধিকারের কথা,
ভিক্ষা চাই না, চাই বেঁচে থাকার অধিকার।


যারা অধিকারের কথা বলে-
অন্যায়-অবিচারে ঢোকাও তাদের জেলে:
এ কেমন তোমাদের ন্যায় বিচার!
আমি বলতে এসেছি
আমরা মানুষ, মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার-
চাই নিরাপত্তা আর চাই অধিকার।