অনন্ত কালের জন্যে আমি এখন ঘুমাব, কোন বাধভাঙ্গা আর্তনাত আমাকে আর জাগাতে পারবে না।
হাজার জনতার আহাজারি আর কোন দিন আমার ঘুম ভাঙ্গাতে পারবে না।


স্বাধীনতা দিবসের পতাকা মিছিলে, আমাকে আর খুজে পাওয়া যাবে না।
বিজয় দিবসের লাল সূর্যকে খুব কাছ থেকে দেখা, আমার আর হবে না।
প্রভাত ফেরিতে আমি আর কখন থাকব না, শহিদ মিনারের পুষ্পমালা, শুকিয়ে শন হয়ে যাবে, তবু আমার ঘুম আর ভাঙ্গবে না।


অত্যাচারের স্ট্রিম রোলার চলবে অবিরত,
নির্যাতনের দাবানল জ্জ্বলবে শত শত,
ফরিয়াদির আকুল আবেদনে, যবে আকাশ বাতাস হবে ভারি, তবু আমার ঘুম আর ভাঙ্গবে না।


ছেলে হারা মা আমায় ডাকবে, খোকা বলে। খোকা, শুনছিছ! উঠ, বাবা উঠ। বোনের অযস্র চোখের জল, বাবা চিরদিনের বোবা হয়ে যাওয়া, ভাইয়ের ফুঁপিফুঁপিয়ে কাঁন্না, কিংবা স্ত্রী-সন্তানরের প্রেম, তবু, তবু আমার ঘুম আর ভাঙ্গাবে না।


আবার
সোনালি বিকালে, খেলার মাঠে, বন্ধুদের সাথে, ঝালমুড়ি আমি আর চাইব না। গ্রীষ্মে  আম কুঁড়ান, বর্ষায় বৃষ্টিতে ভেজা,
শরতের  আকাশে ভেলা ভাসান, হেমন্তের মাঠ ভরা ফসল, শীতের পিঠাপুলি, বসন্তের নতুন জন্মান পাতাকুঁড়ি,  তবু আমার ঘুম আর ভাঙ্গাবে না।


নতুন পানিতে মাছ ধরা, দুহাত ভরে শাপলা তোলা, বাইক আর মুঠোফোন সব কিছু ছেড়ে আমি ঘুমাব। অনন্ত কালের জন্য আমি ঘুমাব। আমার ঘুম আর ভাঙ্গাবে না।