তোমাকে কবে থেকে চিনি জানিনা,
কে কে তোমায় ভালোবাসে বুঝিনা।
আর আমি! সে তো জানিই না, কেমন করে ভালোবাসতে হয়।
ভালোবাসা কী? কেন? কারে কয়?
ওরা তোমায় খুব পেয়ার করে।
যখন তখন বলে, মহাসমাবেশ, সংসদ ভবনে, মিডিয়াতে সগর্ভে।
আমি কেঁপে উঠি ভয়ে,
কখন ওরা হাঁসবে তোমার রক্তমাখা শরীর লয়ে,
থেতলিয়ে চিবিয়ে খাবে, আর মজা নিবে।
কখন ওদের দৌড়ানো শেষ হবে?
কুকুরের কামড়ানোর লিলা থেমে যাবে?
আমি বুঝিনা ওদের ভালোবাসা নাকি ধর্ষণ?
চুম্বন! নাকি মানুষ মারার গুলি বর্ষণ?
আমি জানি না কী?
বারবার একটি কথাই মনে পড়ে,
ওরা দুইজন ঘরে বাইরে,
তোমার সন্তান পুড়িয়ে মারে,
আবার বলে, গর্ভ করে।
তুমি এসব কি কিছুই বুঝ না?
তোমার কি চোখ নেই? তুমি কি কানা?
আমি বলি কি, তুমি কখনো
স্বাধীন ছিলে না, আজও এখনো
স্বাধীন নও তুমি।
ভবিষ্যতেও হবে না মুক্ত স্বাধীন,
সারা জীবন করে যাবে গোলামী।
তোমার দেহে ওরা করছে ফুলসজ্জা
তবু তোমার নেই কোন লজ্জা।
তুমি জান কি? তোমার দেহে নেই
এক টুকরা কাপড়। ইজ্জত ঢাকার কাপড়।
তোমাকে ফুসলিয়ে ফুসলিয়ে যেই,
লালসার পিয়াস মিটায়
অমনি দেয় খামছি, থাপ্পর।
বিশ্বাস কর আমার কোন কিছুই
করার নেই, বলার নেই।
শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি তোমার
রক্তাক্ত দেহ, নখের আচর কাটা শরীর, এলোমেলো চুল,
এসিড নিক্ষিপ্ত মুখ।
এসব দেখে আমার কোন আফসোস হয় না।
জান এতটুকু নেই দুখ।
কারণ আমার সব কিছু সহ্য হয়ে গেছে।
আমি আর আগুনে পোড়া শরীর নিয়ে
হাসপাতালে যাই না। ধর্ষিতা বোনকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে
যাই না। নির্যাতিতা মেয়ের যৌতুক চেয়ে রাজ পথে
ভিক্ষা করি না।
ভাইয়ের লাশ দাফনের জন্য প্রশাসনকে
ঘুস দেই না। বাবার অবসর ভাতা নিতে
বড় সাহেবদের নিকট দেখা করি না।
ছেলের স্কুল ভর্তির জন্য করি না বায়না,
যাকাতের টাকার জন্য কার কাছে দেই না ধরনা।
ব্যাংক ডাকাতি বা শেয়ার বাজার ধ্বসের জন্য
ফেলিনা জল।
শুধু শুধু বসে বসে ভাবি,
এটা কোন আমল।