সৃষ্টি জগৎ মন্দ অতি ,জঘন্যতায় পূর্ণ,
সর্বদাই ছুটছি আমি য়দি পাই পূর্ণ্য।
কিন্তু হায় একি চারিদিক শূন্য,
ভাল মানুষ নেই বুঝি আর আর-মন্দে লোকারণ্য।


ছেলেবেলায় বন্ধু করলাম এক,
ভাবলাম সে ভাল, তার সাথে মিলবে বুঝি বেশ।
এক সকালে খেলতে যাব, স্কুলে যাব না আজ,
বললাম বন্ধুকে আমার উপস্থিতী দিয়ে দেওয়া তোমার কাজ।
মাথা নাড়িয়ে বন্ধু করলো না, না
আমিও বুঝলাম মন্দ সে তার সাথে চলতে মানা।


সেই থেকে আমিও কৌশলি বেশ,
কৃ্ত্রিম  বন্ধুত্যে এখন বন্ধুত্য করি শেষ।


এইভাবেই কাটলো শৈশব, আ্জ কৈশরের রেশ,
মনে প্রেম এলো, সুনয়না সেতো দেখতে বেশ।
দ্বিধা কাটিয়ে সুনয়নাও ধরলো আমার হাত,
মর্ত্যের দেবির হাতে হাত রেখে কাটছে দিন রাত।
এতো অল্প বয়সে প্রেম, লোকে শুনলে লাজ,
পরিবারের বরাত দিয়ে সুনয়নাও ছাড়লো আজ হাত,
বুঝলাম নারী সেতো স্বার্থপর জাত।


আমিও ভালবাসায় স্বার্থপর আজ,
যখন তখন প্রেম বদল করাই এখন কাজ।


যৌবনে ঠকলাম আমি করে তোমায় বিয়ে
তুমি আজ ব্যস্ত ভারী পরপূরূষ নিয়ে
চেয়েছো যখন পাওনি আমায় ছিলাম কাজে ব্যাস্ত্
পরনারী আসক্তিি, একটু নাহয় দোষ ছিল
কিন্তু স্ত্রীকে-তো হতে হয় সতী সার্বস্ত্য।


মন অস্হির অতি ,হয় না কভু শান্ত
ঘরে বাইরে ভন্ড মানুষ দেখতে দেখতে ক্লান্ত।


যতই বয়স বাড়ছে ভাবছি দূর্বল মনে,
যকিছু উপার্জন রাখিব নিজ সনে।
বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের বিস্বাস নেই আর,
নিশ্চই বৃদ্ধাশ্রম হবে ঠিকানা, সম্পদ থাকলে এ সাহস কার !


শেষ বয়সের জন্য রেখেছি সম্পদ,
ছেলে মেয়ে ভাবলো কৃপনতা,
তুমিও মরলে, সেই সাথে সন্তানেরাও গেল,
আমি আজ বড় একা।


আজি শেষ প্রহরে করছি জীবন পাঠ,
বূঝলাম,মনের সংকির্নতাই বড় মন্দ কাজ।
যদি হতে চাই সত্যিকারের সুখি,
প্রথমে নিজমনের সংকির্ণতাকে রূখি।
নিজে ভাল হলে জগৎ হবে ভাল,
নিজ মনে তাই সত্য প্রদিপ জ্বালো।
১৬/০৮/২০১৫