জ্বলছে হৃদয় পূড়ছে মন, চাইছে তোমায় সর্বক্ষন
তুমি পাষন্ড, পোড়া কপাল আমার, পাচ্ছি না তোমার মন ।
কি করে কি করি সর্বক্ষন ভেবে মরি,
দিক বেদিক না পেয়ে, তান্তিকের পায়ে পড়ি ।
তান্তিক বিজ্ঞ অতি সিদ্ব পূরুষ মস্ত,
ছোট্র পাখি বধ করে পড়ে দিল মন্ত ।
যদি খাওয়াতে পারিশ একফোটা রক্ত,
সে শুধু তোরই হবে একান্ত ভক্ত ।
তাবিজ পুতে , মন্ত জপে পেলাম তোমার মন
সেই থেকেই বাবার আস্তানায় যাএা সর্বক্ষন ।
সর্বদাই ভীত থাকি এই বুঝি মন্তের রেশ গেল কেটে,
হন্তদন্ত বাবার কাছে আবার যাই ছুটে ।
দিনেক বাদে আবার দেখি ভালবাসার দোল
পাড়ার মিশু বড় সুন্দর, চাইছে পেতে মন।
ভাবি মনে, তুমিত আছই, আমার ভালবাসা,
মিশুকেও একটু বাজিয়ে দেখি, সে ক্ষনিকের নেশা।
দিল তান্তিক আবার মন্ত জপে
মিশুও আমার হল, নাচছে মন সুখে।
এভাবেই তিনা, মিনা, রুমির মত মন
সর্বদাই আমার পিছে ছুটছে সর্বক্ষন !
কিন্তু হায় একি হল ! এক প্রভাতে, তুমি ছাড়লে আমার হাত
মন্ত তন্ত ,তাবিজ কবজ কিছুতেই হল না কোনো কাজ ।
বললে তুমি মৃদু হেসে-
যদি ভালবাস সৎমনে
সৃষ্টিকর্তার কাছেই চাও পূর্ণমনে
ভালবাসার শক্তি অতি, করবে যখন ভর
যেতে চাও যেথা নিয়ে যাবে সেথা হয়ে অতি তৎপর।