খেয়া
_______বিধান রায়।
------------------------------
ঘামে ভেজা একমুঠো রৌদ্র মিঠাল ক্লান্তির সহোদর চোখ
গালের টোলের মধ্যে ভাঙ্গা পাঁজরের কান্না
অবসাদময় একপৃৃথিবী অভিমান
মলিন সুরের কপাট খুলে ছন্দহীন স্বপ্নীল গীটার
অতঃপর অাগুনের ঢেউ ভেঙ্গে একলা-ই একা
ঘরে ফেরে সময়ের হাতকড়া হাতে অার্দ্র অবসর
অাঙ্গুলে খেলা করে জোছনাহীন বিবর্ন চাঁদ
রাত বারোটার সাইরেন অপেক্ষার প্রহর জ্বেলে কংক্রিটের দেয়ালে ঘুমন্ত শহর।
নিয়নের নীলাভ অালোর খেয়া'য় আর্দ্র কল্পনা
জলের কান্নায় ভেসে ওঠা প্রেয়সীর চাঁদমাখা ঠোঁট
শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে নিজেকে অাবিষ্কার করি তখন
অবিক্রীত ফুলের মধ্যে বিবশ ভ্রমরের মতো;
খসে পড়া পালকের মতো ঘুমহীন রাত
জ্বলে জ্বলে পুড়ে গ্যাছে সুঁতো
অসহায় মোমের মতো পরে থাকে নিঃশেষ ফসলের বর্জ
কাঁচের জানালার ওপাশে ক্রমশ ঘনীভূত হতে থাকে চাঁদহীন রাতের নিকষ অনু-বেদনা
নৈসঃঙ্গের প্রগাঢ়তা ধূমায়িত প্রশ্বাসে  ক্রমাগত
প্রশ্ন করে জ্যামিতিক যন্ত্রনা
কখন অাসবে সুভ্র অালোক ভেজা বকুল ভোর
বরফের পাহাড়ে বিগলিত সোনামুখী রোদ
কখন ভেসে যাবে কাঁচের কার্নিশ লাগোয়া নির্জন চিলেকোঠা ঘর!
__________________________
০৪/০৪/২০১৬ ইং।
অক্সফোর্ড মিশনরোড।
বরিশাল।