সেই একই গল্প একটা-ই লেক
       ------- বিধান রায়।


ডিমের কুসুম-কুসুম গাঢ় সন্ধ্যা
লেকের পাড়ে'র বাদামী পাতার মসৃণতায়
ছিলো অাজকের বিকেল..
তারপর গোধুলি....
সিঁদুররাঙা মেঘে মলাটবন্দী অাকাশ
ভেসেভেসে যাচ্ছিল ঠিকানাবিহিন ডা-ক বাক্সে
লেকের নীলাভ জলের নির্জন বেদনা
তার মুখচ্ছবি
ভাংগা অায়নার টুকরো টুকরো কাঁচের ঢেউ
অাকাশে মিলিযে যায় বিগলিত প্রতিবিম্ব
তবু কী কোলাহল! অামাদের এ শহর
একটু শ্রান্তি -এ-দের
যেন
স্টেনলেস ষ্টীলের রেলিং এ মৃত প্রজাপতি...
ঝড়ের অাভাস থেকে রেডিও স্টেশন
বুঁনোষাঁড়' একপসলা দমকা বাতাস
নীলাভ জলের উপরিভাগে রক্তিম অাকাশ
-গলিত নক্ষত্রের প্রতিবিম্ব যেন এক স্বপ্নময়
বর্নিল অালোকধারা-মুগ্ধ মাখামাখি মগ্নতা।
তখোন জলাশয় থেকে লেক হয়নি লেক'টি!
জলঘাস ভরা এক বিকেলে
কাকে যেন একদিন এখানেই হারিয়েছি
ঝিনুকের মধ্যে পুষে রাখা অযথা সময়
কেউ ফিরে অাসে না -সবাই যাযাবর;
সময়, প্রেমিকা, ঈশ্বর এ শহর সভ্যতা
নাগরিক জীবন -কেউ না!
কেউ ফিরে অাসে না -সবাই যাযাবর;
বিস্মৃত অতীতপূরুষের রংচটা সাদাকালো ছবি, সবুজসাগরে ধানক্ষেত বুক চিরে মেঠোপথ,
এমন সাধের রঙছবি বিকেল.... কেউ না!
জানি, কেউ ফিরবে না;
অথচ এই নদীবিধৌত শহরের মানুষেরা
এইসব জনারণ্য বিকেলের লেক থেকে
কী এমন বিনোদনে চিত্তকে প্রশান্ত করে
প্রতিদিন-
অাধখানি রাত ঘরে ফেরে কপালের ভাজের মধ্যে নিয়ে
তারপর গল্পটি সবারই-ই জানা;
সেই একই গল্প একটা-ই লেক!
_____________________
১৭/০৪/২০১৬ ইং
লেকের পাড়। হাতেমঅালী চৌমাথা।
বরিশাল।