ছুটে চলি এশহর কবিতার মাঠ
--------------বিধান রায়।
কোন একদিন কবিতা'মগ্ন প্রেম নির্জলা সন্ধ্যায়
সময়ভ্রম হয়েছিল অামারও!
দেয়ালঘড়ি'র কাটায় মুচকি হাসে টিকটিক সময়
সন্ধ্যা'র সীমানা পেড়িয়ে রাত এখন অর্ধগভীর
সেখানেই অলস'সময়
কেটে গেল হাজার রজনী এক নিশীথ সুর্যের দেশ।
মহাসিন্ধু'র এই ধূম্র-জালের অমোঘ প্রলোভনেখড়
সিদ্ধি'র ফাঁস কেটে বেরুতে পারে না যে যুবক
-অালস্যতা তার কাছে খরায় পোড়া শস্যক্ষেতের
বেকুব বর্গাচাষী মাত্র!


চোখ থেকে কবিতা'র পর্দা'টা সরে গেল সাতটি র'ঙ
উড়াতে উড়াতে
অামি কতবার নিজেকে ভেবেছি অন্তরাটুকু....
এ কোন মাদকতা অামার!


অামিতো চাইনি তারমতো কবিতা'মগ্ন প্রেম হই তার!
কিংবা,
সে হোক অামার-ই মতো কাব্যিকনেশা গ্রস্থ
মাতাল প্রেমিকের  -কবিতা!
বুকে বেড়ে উঠা দ্বৈত স্বত্বা দৃপ্ত প্রত্যয়ে বারবার
বলে -যুবক,
তুমি কী হেরে গেছ কবিতা'র কাছে?
অমি মনের ময়লা মুছে ফেলে মুখের মধ্যে রাখি
অনামিকা
অগ্রভাগের ময়লা রেখা' থেকে সামান্য উপরে
মুখে নখ সপে দিয়ে দাঁতে দাঁত কাটতে কাটতে
তাকে বলেছি -এপথ
অামার নয় বাছা!
মহুয়া'র বোতলে কাঁচের কবিতা
থাকুক তবে তার মতো করে
অামি অাপোষহীন সমরাঙ্গন ছেড়ে মহুয়া'র গঙ্গাস্নান পাঠে
  -নিজেকে উজার করতে পারব না এখন-ই


যুগলবন্দী হাঁটুর মাঝখানে মাথা রাখি তিনটি মাথা
নিজেকে প্রশ্ন করি
অামার মধ্যে এ-কোন অামার-অামি!
অামি কী সে হয়ে গেছি!  নাকি সে অামার!
অামি কী? তা
চিনতে পেরেছি!   নাকি জানতে পেরেছি নিজেকে??


......তারপর অাবারও নিজের রাস্তায় ছু-টি পাগলা
ঘোড়া
ক্ষুধাভরা পেটের ধান্ধায় রাস্তায় নামি ব্যাস্ততা নিয়ে
ছুটে চলি এশহর কবিতার মাঠ।
________________________________
২০/০৪/২০১৬ ইং।
অক্সফোর্ড মিশন রোড।
বরিশাল।