মাছের খুলির মধ্যে একনক্ষত্র সুখ
       _______ বিধান রায়।
____________________________
এখন মধ্যাহ্নরাত অাঁধারে বুক পেতে ঘুমিয়েছে
নিথর পৃৃথিবী
বালিশের খোলের মধ্যে নিমগ্ন পরজীবি-স্বপ্ন'রা
ক্রমশ ছোট হয়ে হয়ে যাচ্ছে বৃত্তের পরিধি
দৈর্ঘ্য প্রস্থ ব্যাসার্ধ-বিহীন গোলাকার সময়
ঘুমানের ভাণ করে অনুচ্চারিত ভাবনাগুলো
সময়ের প্রস্রবণে পিচুটি জমে জমে তন্দ্রায় ঝুলন্ত চোখ
অামি শুয়ে অাছি যেন একটি মৃত্যুর
কাব্যিক শরীর
বনেদী পৃথিবীর উল্টো পথ থেকে নেমে এলো সে
ছোপ ছোপ রক্তে ভেজা নিথর প্রাণ অামার
তারপর বলার মত তেমন অার কিছু মনে পরেনা
একপৃথিবী মাধ্যাকর্ষণ অামার চন্দ্রযুগল টেনে নিয়ে
যেতে চায় অারেকটি সচল পৃথিবীর কাছে
অথচ অামি যেতে পারি না।  চোখ দুটো কে যেন এক
স্বার্থান্বেষণকারী
বেঁধে দিয়েছে নিকষ রাতের কাঁধে বিনিদ্র পালকী।
কোথাও কেউ নেই!!
নিস্তব্ধতা!! অাঁধারের শব্দহীন কান্না!!
দী-র-ঘ-ঈ -কার অাকৃতির কিছু প্রশ্নবোধক চিহ্নে
ঝাপসা হয়ে অাসে অামার অস্তিত্ব, ক্রমাগত
অামি নিজেকে ভাংগি
অাবার গড়ি,
মুদ্রার অপর পিঠে নতুন দৃশ্যকল্পে অাঁকি
কাঁচের ফুলতোলা নবাগত পৃৃথিবীর নকঁশী শরীর
ততক্ষণে অাবার ভেঙ্গে পড়ে এই মধ্যরাতের অাকাশ
বেণোজল মেপে মেপে চোখে নেমে অাসে অনিদ্রাস্ফুলিঙ্গ।


অামি হাজার বছর ধরে হাঁটি একটাই পথ
বিমূর্ত পথিক
নখের খন্দরে গুজে রাখি জলধোয়া ইচ্ছের
নাসপাতি শরীর
অাহা,  অাজ এখানেই ফুলশয্যা হোক হাজারো মৃত্যুর!
অতঃপর
মাছের খুলির মধ্যে গড়ে নেব একনক্ষত্র সুখ।


তারপর চিলেকোঠার কার্নিশে বুক পেতে দ্যূতিময় সকাল
জেগে ওঠে নরম রোদের সোনালি ঝিলিক;
অামি ফিরে ফিরে দেখি গল্পগুলো একই প্রতিদিন
  -তারপর নতুন কোন গল্পে পাল্টে নেব বেঁচে থাকবার সিষ্টেম।
_____________________
১৭/০৪/২০১৬ ইং
অক্সফোর্ড মিশন রোড।
বরিশাল।