চঞ্চলহলো দেহ-প্রাণ-মন রাতের জলসা ঘরে,
সঁপিল সে তার দেহযৌবন,মনেতে অশ্রু ঝরে,
কবরী হইতে করবীর মালা পরালো দরদি গলে,
শুধাইল হাসি, “হে মোর সজনি চুমা দাও মোর ভালে,”
মনের মাঝারে গহিন অতলে আগুনের জ্বালা লয়ে,
শুধালো সজনি, “অন্তরে রহ,অন্তরত্বর হয়ে।
দেহ আছে তাই এত প্রেমঝরে, যেদিন হবো যে বাসি,
প্রেম যমুনার প্রমের তরণী থামিবে ঘাটেতে আসি।
গয়া-বৃন্দাবন-কাশীর মাটিতে সেদিন জ্বালাবো বাতি,
গোবিন্দ চরনে দিয়ে প্রণ-মন জগিবো যে সারা রাতি।
তখন কোথারবে, ভেবেছো কি তাহা,কোথা রবে মোর দেহ?
সেদিন তোমার জীবন তরণী দেখিতে রবেনা কেহ।
নশ্বর দেহকে আপন ভাবিয়া করিয়াছে পূজা যারা,
দেহের ভিতর দেহ-আত্মাকে সত্য ভাবেনি তারা।
পুতুল-দেবতায় ডাকি ডাকি কবে ‘হে মোর দেবতা শোন,
পূজার বেদীতে গৃহ-সজনির হয় নাই পূজা কোন!’।
তাই আজবলি হে মোর দরদি ফিরে যাও ত্বরা ঘরে,
এ দেহ মাঝে ‘আমি’ কভু নাই, ‘আমি’ আছি অন্তরে”।
জলসা ঘরের নর্তকী চোখে অঝোরে অশ্রু ঝরে,
বার বার বলে “ফিরি যাও ত্বরা, ফিরে যাও তব ঘরে।
ক্লেদ ময় এই দেহপিঞ্জর দিবেনা শান্তি বারি,
দেহ-পিঞ্জরে যিনি লুকাইত, সব কেরামতি তারি”।
দরদীর চোখে জলে ভরে এল,দরদী আসিল ফিরি,
গৃ্হের দেবীকে মনের বেদীতে বসাইলো ত্বরা করি।
ক্ষুধা নিবারিতে জলসাঘরের নর্তকী হয়ে রয়,
নর্তকী মন সদা হয়েরহে, কেবলি দেবতা ময়।
লেখক-নিশিকান্ত দাস,
ইং-০১-০৬-২০১৫
ফোন নং-৯৪৩৩৪৪২০৮২