গ্রীষ্মাবসানে সরসীর জলে ছুটিয়া নামিল বরষা
হরষী সরসী সোহাগ জানাল মিটিবে আজিকে লালসা।
কবরীর মালা ভাষিল যে নীরে,  
মেখলা খসিল সরসীর তীরে,
সরসী চুমিল  স্তনভার মাঝে, রক্তিম হলো সহসা-
পূরন করিতে সরসীর আশা, বেগবতী হলো বরষা।
গোঠের রাখাল ফিরিতেছে ঘরে দিনের অর্ধবেলা
সন্ধ্যা-আঁধার সময়ের ভুলে নামিয়া করিছে খেলা
অর্ধ-সরসী ভরিয়া উঠিবে,
সচ্ছ-সলিলে চাঁদ যে হাসিবে,
সরসীর বুকে নূতন সরোজ মেলিবে যে অগনন,
প্রমাণ হইবে, বর্ষারি ডাকে সরোজের আগমন।
হল কাঁধেকরি কৃষক চলিছে বর্ষাকে লয়ে মাথে,
কেতকি,কদম সুবাশ ছড়ায় মধুকর লয়ে সাথে।
দোয়েল লাফায় খাবারের লাগি,
দাদুর ডাকিছে দাদুরীকে হেরি,
বহুদিন পরে ভেক কলরব চারিদিকে অগনন ,
শুষ্ক ধরণী সরষ করিতে বর্ষার আগমন।
পালতোলা তরি বর্ষার স্রোতে হলো বেগবতী  হরষে,
সারা নভতল হলো চৌ-চীর বিদ্যুদ্দাম পরশে।
জোনাকিরা আজ সরসীর ধারে ডাকিয়াছে মহাসভা,
ঝিঁঝিরা সবাই ধরিয়াছে তান ঝোপ-ঝাড়ে মোনলোভা,
মেঘ গুড়‌ গুড়‌ আকাশ মাঝারে,
দামিনী চমকে আকাশ অধরে,
ছোট্ট তটিনী কল্ কল্ করি ধরিয়াছে শ্যাম গান,
গ্রীষ্মের পরে, করুণার ধারা বর্ষার প্রিয়দান।
পল্লীবধূ তুলসি তলায় দিতেছে প্রদীপ-আলো,
“এই ধরণী তল হোক মধুময়,বঁধুয়া থাকুক ভালো,
সবুজের মাঝে সোনালির রেখা,
হবে ‘নবান্নে’র আবার দেখা,
নবান্নতে ভরুক গোলা সোনার বরন ধানে”।
পল্লীর বধূ আশীষ মাগিছে, বর্ষা-বধূর দানে।


লেখক:-নিশি কান্ত দাস
তাং-২৫-০৯-২০১৪
ফোন নং-৯৪৩৩৪৪২০৮২