উর্বশী এতদিন ছিলে তুমি
কঠিন-কঠোর বেষ্টনী মাঝে,
আজ উদয় হলে সৃষ্টির নিশানায়
প্রচার হয়ে এলে তব আত্ম প্রকাশে।


আজ তব নব,জন্মান্তরের জন্ম ক্ষণ-
এই অন্তরীক্ষে হর্ষময় আমরণ,
আজ তব গাত্র শিরায়,হবে নব নব জাগরণ-
লজ্জ্বা দিয়ে ঢাকিব আজ, লজ্জ্বার আবরণ।


হে উর্বশী, তোল তোল ঘোমটা তোল-
             লজ্জ্বা নহে আর,
এই জাহানে বিধাতা বেঁধে ছিলো জোড়া
      শুধু,তোমার সাথে আমার ।


চক্ষু মেলে চাহ আমায়
            ঊর্ধ্ব কর শির-
যেন দুটি বিহঙ্গ বাধিছে বাসা
একটি সুখের নীড়।


কথা বল বধূ আমার
খামোশ রবে আর কত?
কত রজনী কাটিয়াছে নিরালায়
বেদনায় কাটিয়াছে কতশত।


আজি, সর্ব বেদনার অবসান ঘটুক
ফুটুক, শান্তির উদয় বেলা,
আজি, প্রণয় হবে, সন্ধি হবে
খেলবো প্রেমের নব খেলা।


‘ এই ক্ষণ মধুময়,শান্তির শুভ অবকাশ    
তোমাতে আমাতে হবে, নগ্নতার উলঙ্গ প্রকাশ’

আজ মিশবে দুটি প্রাণ -
সাগর নদীর মিলন মোহনার মত,
আজ মিলন হবে-
রাত আর চাঁদের জোছনার মত।


আমি ক্লান্ত, তুমিও ক্লান্ত
বহুকাল ধরে যেন দুটি ক্ষুধাতুর প্রাণী,
সব ক্ষুধা মিঠাবো আজ-
অধরে এঁকে দেব কাম-ভাব-ময় ক্ষুধাতুর চুম্বন খানি।
শত রতি, শত মিলন, শত কামনাতে-
স্বর্গ রচিব মোরা, দুজন-দুজনাতে।


এই হৃদয় মিলন যাচে-
তাইতো তোমায় যাচি,
দেহ বিচ্ছেদে প্রেম থাকুক
খুব কাছা কাছি।
শূন্যতা ছাড়ি খুলো স্বর্গের দ্বার
পিয়াসী পরাণ, পূর্ণতা পাক বারবার,
ওগো-উর্বশী, উর্বর হয়ে থেকো-
           এই বক্ষ মৃত্তিকাতে,
তিমির ছিঁড়ি, আলোক হয়ে
          হেঁসো প্রত্যেক প্রাতে।।