চার দশকে কেনো দেশের এমন হলো হাল!
মূর্খরা সব আগে বাড়ে, ওঠে দিয়ে ফাল।
অজ্ঞজনে যাচ্ছে বকে, তিড়িং বিড়িং নাচে,
জ্ঞানীরা সব চুপসে গেছে, পাই না তাঁদের কাছে।
বায়ুর মতো বালাই উড়ে, কেউ করে না রাগ!
ঘরের ভেতর লুকিয়ে থাকে মানুষরূপী বাঘ।
দিনের আলোয় ঘুরছে খুনি, আইন দেখে না তাকে,
নির্দোষজনে সাজা পেয়ে কয়েদখানায় থাকে।
আবালজনের আচার দেখে আঁতকে ওঠে বুক,
অশ্লীলতায় চোখ বেশি যায়, সেটাতে পাই সুখ!
দুর্নীতিটাই নীতি হয়ে খাঁমছে ধরে বোধ,
কুপথ ধরে কুকাজ করে নিচ্ছে প্রতিশোধ।
সাগর চুরি, মহালুটে মানুষ হচ্ছে হাতি,
ভুখা-দুখা মানুষগুলো খাচ্ছে পেটে লাথি।
থাকলে মরে পথের 'পরে বাড়ায় না কেউ হাত,
রাতকে কেউ দিন করছে, কেউ দিনকে রাত।  
স্বেচ্ছাচারী শাসকেরা চলছে নিজের মতো,
বুক উঁচিয়ে রুখে কে তা? সাহস আছে অতো?
শাঁখের করাত চতুর্দিকে, হাজার ছলা-কলা,
বিবেকবোধে উচিত কথা যায় না এখন বলা।  
পেশী-কালোটাকার জোরে লুটেরা সব হাসে,
আমজনতা পায় না যে কূল, মাঝদরিয়ায় ভাসে।
যে পারছে সেই লুটছে; কাড়াকাড়ি, ভাগে
চলছে বিবেকবিহীন দ্বন্দ্ব, কে লুটবে আগে!
দেশমাতৃকার বস্ত্রহানীর লক্ষ্য সবার সাধা,
স্বাধীন দেশের স্বাধীনতার হাত পা এখন বাঁধা।  
কে চেয়েছে অভাগা দেশ? কে চেয়েছে? বলো।
স্বাধীন দেশের চেহারাটা কেনো এমন হলো?