আমি হীন, অকাল কুষ্মাণ্ড, রীতিনীতিহীন এক বর্বর,
সভ্যতার ছোঁয়াহীন অমানুষ এক।
দিক্বিদিক ছুটে চলা এক যাযাবর আমি।
জানি না শুরু কোথায়, কোথায় যে থামি!
অচল পয়সার মতো দামহীন যুবক।
তলাবিহীন ঝুড়ির মতো পড়ে থাকি আস্তাকুঁড়ে।  
আমাতে চাওয়ার কিছু নেই, নেই প্রত্যাশা।
উত্তেজনার দাবানল এই ফুঁসকে উঠে
আবার নিভে যায় হঠাৎ, যায় চুপসে।
করুণা প্রার্থনা করি, আশাহত হয়ে ফিরি, যেনো অরণ্যে রোদন।
শত সহস্র মানুষের মাঝেও আমি বড় একা, নিঃসঙ্গ।
কাছে থেকেও সবাই পর,
আপাদমস্তক ছলনার বসতি যেনো সবই।
সুখে থাকার সংগ্রাম চলছে নিরন্তর,
আশার আলো ঝলকিত হয় জেনারেটরের তাপে।
তেল পোড়ো আর আলো জ্বালো, আলো জ্বালো আর তেল পোড়ো।
তেল ফুরোলেই সব আশা শেষ।
বিশ্বাসের নড়বড়ে গাঁথুনি অবিশ্বাসের উপর।
সম্পর্কের প্রদীপের তলে সন্দেহের অন্ধকার।
সঙ্গীই আমাকে বানিয়েছে নিঃসঙ্গ।
কষ্টকে আমি বলি না কষ্ট, এ যে আমার প্রাপ্য।
সন্তুষ্টির খোলসে ঢাকা কষ্ট সর্বত্র।
আমি অযত্নে ভাবি স্বপ্নের ভাবনাগুলি
আর হেঁটে চলি, নয় কোন প্রত্যাশায়।  
সমাজচ্যূত নই আমি,
নিজেকে রেখেছি আমি সভ্যতার খোলসে।
মানুষের আড়ালে আমিও এক অমানুষ, অসভ্য, অসার।