বুকের জমিন দিলাম পেতে
হৃদয় দুয়ার খুলি রে,
তুই কি আমার মনের ঘরে
দিবি পদধুলি রে?
হাজার রাতের স্বপনগুলো
হারিয়ে যাবে, পড়বে ধুলো?
আমার হাতে হাত মিলিয়ে
নিবি না কি তুলি রে?
দুজন মিলে বাসার ছাঁদে
নীল আকাশের পূর্ণ চাঁদে
তাকিয়ে থেকে অল্প,
বলবি নাকি কাছে এসে
কল্পনাতে ভেসে ভেসে
না বলা সব গল্প?
ব্যাকুল লাগে হৃদয় মাঝে
দেখবি না তা চোখে?
বাঁচতে হলে আমি জানি
লাগবে আমার তোকে।
শুকনো কোনো ঝরা পাতা
লাগছে আমার জীবন খাতা,
হয় না কোনো লেখা,
পথের পানে তাকিয়ে থাকি
মুখ লুকিয়ে মুছি আঁখি,
দিবি না কি দেখা?
শীতে ঝরা পাতার মতন
হচ্ছে আমার ছন্দ পতন
পাই না খুঁজে দিক।
ছন্নছাড়া জীবনটাকে
পাইনা খুঁজে সঠিক বাঁকে,
কেমনে করি ঠিক?
জীবন আমার সলতে হয়ে
পুড়ে পুড়ে যাচ্ছে ক্ষয়ে
সময় তো নেই থামার।
তুই যে আমার পরাণ বায়ু,
ভুবন পরে বাঁচার আয়ু,
লাগবে তোকে আমার।
আর কতোদিন এমন করে
তিলে তিলে যাবো মরে?
আসবি কবে কাছে?
পাষাণ হয়ে থাকিস নে আর,
তুই ছাড়া বল কে আর আমার
এমন আপন আছে?
থাকতে এমন একা একা
ভাগ্যে আমার ছিলো লেখা?
এমন নিঃস্ব, হীনও?
বিধাতারো আছে জানা
তুই ছাড়া যে বাঁচতে মানা
আমার একটা দিনও।
মরার আগে চোখের পানি
মুখে ফেলিস একটুখানি
বসে কাছাকাছি।
তোকে দেখার আশা জাগে
একটা পলক, মরার আগে,
প্রতিক্ষাতেই আছি।