সদাই ছুঁটে চলছে মানুষ
লক্ষ্য কতো সব!
চারদিকেতে কতো লোকের
নিত্য কলরব!
কতো লোকের আসা-যাওয়া,
সরব গুণগান,
ভবের মেলায় রঙের মানুষ,
স্বপ্ন ভরা প্রাণ।
দিক্বিদিকে ছুঁটছে মানুষ,
হিসেব মেলা ভার,
ব্যস্ত সবাই নিজের তরে,
রাখবে খবর কার?
কেউবা ছুঁটে সুখের নেশায়,
কেউবা ছুঁটে খালি,
কেউ খুঁজে পায় সুখের দিশা,
কেউবা চোরাবালি।
কেউবা কাঁদে লুকিয়ে একা,
কেউবা কাঁদে পথে,
কেউবা হাসে লোক দেখাতে,
কেউবা জয় রথে।
কেউ ধারে না কারোরই ধার,
কেউবা নেশায় মত্ত,
কেউবা দুহাত ভরেই কুড়োয়
সামনে পাবে যত্ত!
কেউবা থাকে সুযোগ-আশে,
বেপরোয়া কেউ,
ঠকে কারও চোখ ভেসে যায়
কান্না জলের ঢেউ।
কেউবা থাকে কৃপার আশায়,
কেউবা মরে শোকে,
কেউবা থাকে পথ চেয়ে
আসবে পাশে লোকে।
কেউবা করে প্রভুর সেবা,
কেউবা ধরে ধ্বজা,
কেউবা দূরে বসে থেকে
দেখে সবার মজা।
নিভৃতে কেউ লুকিয়ে একা
মৃত্যু প্রহর গুনে,
কেউবা আবার বাধ্য হয়েই
অবাঁধ কথা শুনে।
কেউবা গোছায় নিজের আখের,
মেটায় ষোল কলা,
কারোবা ফের সময় ফুরোয়
হয় না কিছু বলা।
কেউবা শুধু সব দিয়ে যায়,
কেউবা নেবার বাগে,
কেউবা হেরে পিছিয়ে পড়ে,
কেউবা সবার আগে।
যন্ত্রণা কেউ লুকিয়ে বুকে
ভাগ্যকে যায় দুষে,
কেউবা আবার ইচ্ছে করেই
দুঃখ ব্যথা পুষে।
কেউ হয়ে যায় পথের ফকির,
কেউ হয়ে যায় রাজা,
কেউবা পায় মিথ্যে বিচার,
মিথ্যে সকল সাজা।
কেউবা ফেরে বীরের বেশে,
কেউবা ফিরে হেরে,
কেউ রয়ে যায় লড়াই পথে
মৃত্যু আসন গেড়ে।
কেউ শুষে যায় জোঁকের মতো,
কেউ হারিয়ে শেষ,
কেউবা সাধু প্রভুর পানে,
কেউবা ধরে বেশ।
কেউ বকে যায় প্রলাপ কথন,
কেউ থেকে যায় চুপ,
কেউবা আবার বুকের ভিতর
জ্বালায় বিষাদ ধূপ।
কেউবা পেয়ে বেজায় খুশি
গায়ে লাগায় হাওয়া,
কেউবা নিরাশ অশ্রু ঝরায়,
হয়না কিছুই পাওয়া।
কেউবা মত্ত বিলাসিতায়।
কেউ ডেকে নেয় অভাব,
সব থেকেও গরীব থাকাই
আবার কারও স্বভাব।
পাপ মোচনে কেউবা মাগে
প্রভুর কাছে ক্ষমা,
কেউবা আবার পাপের পরে
পাপকে করে জমা।
কেউবা যাচ্ছে গড়েই শুধু
আপন ভুবনটাই,
কেউবা আবার ধ্বংস খেলায়
হচ্ছে পুড়ে ছাই।
ভবের মেলায় কতো মানুষ
খেলছে কতো খেলা,
সকল খেলার বিনাশ হবে
সাঙ্গ হলে বেলা।