আইনের শাসন? সে তো শুধু মুখের কথা, কোনও আইন পায় নাই যথার্থতা,  
আইনপ্রণেতাই ভাঙছে যে আইন, লঙ্ঘিত আইন ডুকরে কেঁদে লুকোয় ব্যথা!
আইনের পর আইন আসছে, সেই আইনের পূর্ণ প্রয়োগে নেয়না যে কেউ দায়,      
জেল-জরিমানা যেনো কাগুজে বাঘ, আইনলঙ্ঘনকারী সহজেই পার পেয়ে যায়।
মানবাধিকার পদদলিত, আইনের চোখে সবাই সমান- শুধু প্রবাদ হয়েই থাকে,
ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব যার সে যেনো আজ উপরে সবার, জনগণকে অবহেলায় রাখে।
সুযোগ, মর্যাদা সমান সমান- এ তো হলো বিলীন স্লোগান, বাস্তবে নেই খেই,
লাগাম ছেড়ে চলছে মানুষ, আইনকানুনও পটাং বেহুঁশ, সাড়া পায় না কিছুতেই।
প্রতিবাদে নামলে মাঠে হয়রানিটাই ভাগ্যে জোটে, কাঁদানে গ্যাস ঝরায় অশ্রুজল,
প্রতিবাদীর তপ্ত বুকে বুলেট-গুলি যাচ্ছে ঢুকে, জীবন গেলেও ফলে না তো ফল। ২৩০
বঞ্চনা সে নিত্য চিত্র, লাঞ্ছনা তো সদাই ঘটে, প্রতিকারে চুপ থেকে যায় আইন,
সুরক্ষা ও স্বাধীনতা, সুযোগ লাভের সব সমতা মিথ্যে হয়ে বাড়ায় ক্ষোভের লাইন।
মর্যাদা পায় ক্ষমতাধারী, জনগণের আহাজারি-ক্রন্দন আজ আইনে না পায় সাড়া,
নির্ভয়ে আজ ধর্মপালন, রাত্রিকালে নিদ্রাযাপন, সব কিছুতেই দিচ্ছে যে ভয় তাড়া,
প্রশাসন যে বেপরোয়া, সাথে আছে টাকার মায়া, জবাবদিহি নেই তো আজ কারো,
ক্ষমতাটা থাকলে হাতে সবখানেতে দিনেরাতে খেয়ালমতো সবই করতে পারো।
ইচ্ছেমতো আটক করো, বিচার ছাড়াই মারতে পারো, আইন আর কী করতে পারে?
অপরাধী সবার রাজা, নিষ্পাপজনে পাচ্ছে সাজা, পড়লে রোষে কেইবা তাকে ছাড়ে?
মদমত্ত ক্ষমতাতে ফাঁটল ধরে সমতাতে, হয় পরিণতি স্বেচ্ছাচারী-স্বৈরাচারী শাসন,  
স্বার্থান্ধ মানুষগুলো সবার চোখে দিচ্ছে ধুলো, আইন করছে রাখতে নিজের আসন। ২৪০