যুগের হাওয়ায় উড়বে শিখন-শিক্ষণ, শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বস্তর হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল,
এমন লক্ষ্যে কাজ শুরু হলো, ডিজিটালাইজেশনের হাওয়ায় হলো সবই টালমাটাল!  
এমন কর্তা আছেন নিজেই সঠিক জানেন না যে ডিজিটালাইজেশনের আসল মানে কী।
ডিজিটাল ডিজিটাল করে যারা মুখে তুলছে ফ্যানা, তারাও এর বাস্তব প্রয়োগ জানে কি?
বিশ্বায়নের যুগে ডিজিটালাইজড হয়ে সামনে এগোবে যে শিক্ষা সে শিক্ষাই যায় পিছে।
এখনও অনেক স্কুল নামসর্বস্ব, অনেক স্কুলে ক্লাস হয় গাছ বা খোলা আকাশের নিচে।  
ভবন নেই, মাঠ নেই, দরকারি শিক্ষকও নেই, মাটির উপরে বসে শিক্ষার্থী আনমনা,
বাগান নেই, খেলাধূলা নেই, শরীর চর্চা নেই, শিক্ষার নামে মিলছে অশেষ বিড়ম্বনা।
জীবনে প্রতিষ্ঠার আশা নিয়ে আসা শত শত শিক্ষার্থীর কপালে জোটে শুধুই হতাশা,
নিয়ম রক্ষার্থে অনেকটা বাধ্য হয়ে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে চলছে শিক্ষার নামে তামাশা। ৪১০  
খোলা আকাশের নিচে মাটির উপরে বা টিন শেডের ঘরে বিঘ্নিত শিক্ষার ভগ্ন দৃষ্টি;  
মাঘের তীব্র শীত, কনকনে হাওয়া, গ্রীস্মের তীব্র তাপদাহ বা কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টি,
কিম্বা বন্যার পানি, বৃষ্টির কাদাজল সহ্য করে করে স্কুলে যাওয়া সে তো সহজ নয়,
যারা ডিজিটাল ডিজিটাল করেই খালাস তাঁদের কি আর ছাদবিহীন স্কুলে যেতে হয়?
ডোনেশানের জোরে মামা-কাকা ধরে যোগ্যতাহীন লোক হচ্ছে শিক্ষক! শিক্ষা হবে কি?
কেনা সনদের বলে, কিম্বা নকলের ছলে শিক্ষক হলে শিক্ষার কোনো মানে রবে কি?  
শিক্ষার্থীরা লিখছে যা তা, শিক্ষকেও লিখে দিচ্ছেন খাতা, কেউ ফের প্রশ্ন করে ফাঁস!
উত্তরের মানের খবর না নেয়া, শুধু আকার মেপেই নম্বর দেয়া- এ যে জাতির বনবাস!
কমিশনের পর কমিশন হয়, পলিসি মেকিংও কমতো নয়, শুধু খরচ করে যাও টাকা।
আসল শিক্ষার খবর নাই, সুশিক্ষার দিয়েছি কবর তাই, ঝুড়ি আছে, তলাটা যে ফাঁকা! ৪২০