শহর নগরে বাড়ছে মানুষ, বাড়ছে বাড়ি ঘর, সেই সাথে বাড়ে শিক্ষার চাহিদাও,
এ সুযোগে সুবিধাবাদীর দলেরা মতলব আঁটে, এ সুযোগে অর্থ কামিয়ে নাও।
অলিতে গলিতে রাস্তার পারে, বাসার ছাঁদে, দোকানের উপর, কিম্বা শপিং মলে
রঙিন ব্যানার, সাইন বোর্ড লাগালেই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় তো দিব্যি চলে!
দোকানের চেয়ে স্কুল বেশি, শিক্ষার চেয়ে প্রচারণা বেশি, সেরা শিক্ষা দেন তাঁরা,
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষা সবার নাগালে আনতে বসতবাড়িতেই কক্ষ নিয়েছেন ভাড়া।
জানালা দরজা পর্দায় ঢেকে চলে পড়াশুনা, প্রকৃতির আলো বাতাসও না মেলে,
যে কক্ষে বসে শিখন-শিক্ষণ সেখানেই শিক্ষার্থীরা ঘুমায়-ঝিমায়-চেঁচায় ও খেলে।
সমাবেশ নেই, শারীরিক কসরত নেই, নেই গাওয়া জাতীয় সঙ্গীত সবাই মিলে,
জাতীয় সঙ্গীত হয়তো বাজে সাউন্ড সিস্টেম থেকে, এ শুধু দায়সারা, সব ঢিলে। ৪৩০
যে প্রতিষ্ঠানের ফি বেশি তাদের ব্যবস্থাও কিছু বিদেশী, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ করে
শিক্ষার পরিবেশ মানে হিম শীতল হাওয়া আর শ্রেণির কাজ দমবন্ধ করা ঘরে।  
বাইরের জগত থেকে বিমুক্ত শিক্ষা এক, হয় না ইতিহাস জানতে কোথাও যাওয়া,
এখানে শিক্ষা মানে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যক্রম আর নির্দিষ্ট সময় শেষে পরীক্ষার হাওয়া।
শ্রেণির কাজ, বাড়ির কাজ, গ্রুপের কাজ, প্রকল্প পেশ, এভাবেই শিক্ষাকাল ধায়,
নীতিশিক্ষা নেই, নেই ধর্ম শেখা, শিষ্টাচার-আদব-কায়দার শিক্ষা সমূলে হারায়।  
মাস শেষে ফি গুনে খালাস পিতামাতা, সময় নেই খোঁজ নেবার সন্তান কী শিখে।
এ যেনো ফলের আশা করে গাছের শিকড় কেটে দেয়া, যে আশার আলোটাই ফিকে।
শিক্ষাদীক্ষা নেই, মানের যাচাই নেই, সুশিক্ষার নামে যে ব্যাঙের ছাতা কিলবিল করে,  
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তো নয়, এ যে সব পশু-পাখির খাঁচা, পোল্ট্রি ফার্ম নগরীয় ঘরে ঘরে।  ৪৪০