প্রযুক্তি ছাড়া আমরা অচল, প্রযুক্তি করে জীবন সচল, প্রযুক্তি নেবে মানুষের স্থান!
প্রতিদিনের কাজে প্রযুক্তি রয়েছে নিবিড়, তাই বলে প্রযুক্তিই হবে জীবনের মান!
তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ সবাই মজে গেছে আজ প্রযুক্তি আবেশে, আবেগ যে মৃতপ্রায়,
নাবালক- শিশু, কিশোরেরাও আজ মত্ত যেনো প্রযুক্তির বাহারী রঙ্গিন দুনিয়ায়।
মানুষে মানুষে বাস্তব সম্পর্কে ফাটল ধরেছে, বিচ্ছেদে রূপ নিয়েছে মানবসন্ধি,
হিতাহিত জ্ঞান ভুলে ছোট-বড় সকলে কম্পিউটার, মোবাইল, ট্যাবের জালে বন্দি।
সময়ের চাহিদা? বেশ ভালো কথা। তাই বলে ভালোমন্দের বিচার করবে বরবাদ!
যে প্রযুক্তি জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে তা কি অভিশাপ নাকি আশীর্বাদ?
খুব সহজেই, খুব কম সময়েই হাতের নাগালে পাওয়া সব খবর, উপাত্ত-তথ্য
কজনেই আর করে তার বিচার কতোগুলো বাস্তব বা অবাস্তব, সত্য না অসত্য? ৪৭০
ব্যস্ত পিতামাতা পড়েন হিসেবের খাতা, নেন না খোঁজ ছেলেমেয়েরা কী করে।
দিয়েছেন সন্তানের হাতে প্রযুক্তির বর! আবেগী সন্তানের মাথায় বাদ-বিচার ধরে?
পাল্টে যায় সন্তানের প্রকৃতি, ব্যবহার, আচরণ, আচার, ভাব প্রকাশের ভঙ্গি,
পাশে পায় না আপনজনকে প্রয়োজনে, প্রযুক্তির যন্ত্রই তার একাকিত্বের সঙ্গী।
আশেপাশে খেলার মাঠ নেই, বাধ্য হয়ে থাকা বাসাতেই, চার দেয়ালের বদ্ধ খাঁচা,
প্রকৃতির ছোঁয়া নেই, আলো-বাতাস নেই, নিয়নের আলোতে মরা-বাঁচা!
বিনোদন সে তো মোবাইল ফোন- কম্পিউটারে, সেখানেই অবাস্তব সব খেলা,
এমন সন্তানের বিকাশ বিপর্যস্ত, বিপথে পা ফেলে মজে থাকে সারা বেলা।
সততা, সভ্যতা হয় নাতো শেখা, মানে না বাবা-মা, বড়-ছোট, ভাই-বোন,
হালফ্যাশন চিন্তা কিম্বা দায়িত্ব এড়াতে সন্তানের হাতে পিতামাতার দেয়া স্মার্ট ফোন ৪৮০
ধরিয়ে দিয়েছে নেশা, মাদকতা; শ্লীলতা-সৌজন্য ভুলে হয় মানসিকতার অবক্ষয়,
সুশিক্ষা আর হয় নাতো দেয়া, হাজারো অপরাধের সাথে শিশুর হচ্ছে পরিচয়।
অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে সন্তানে, সে খবর নেয় কি সকল মাতাপিতা একটি দিনও?
প্রযুক্তির হীন প্রভাবে সন্তান হারাচ্ছে মানসিক ভারসাম্য, দিনেদিনে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ।
পড়াশুনা গোল্লায় যাক! সন্তানেরা পড়ে থাক ইন্টারনেটের জগতে ঘন্টার পর ঘন্টা,
এ-সাইট ও-সাইটে ঘোরা, অশ্লীল অমোঘে ভরা, বিকৃত বাসনা ভরে সুকোমল মনটা।
বিগড়ে যাচ্ছে স্বভাব, রীতিনীতির বড্ড অভাব, লাগামহীন অসংযত প্রযুক্তির ব্যবহার
সুশিক্ষা বিযুক্ত করে শুধু কুসন্তানই গড়ে, কুপথে কুকর্ম করে, অপরাধের পাহাড়!
নজরদারী নেই, আদেশ-নিষেধ নেই, এ যেনো সময়ের স্রোতে ভাসা শুধু অভিলাষ!
শিশু-কিশোর-তরুণেরা বেখেয়ালী প্রযুক্তির টানে করেই চলেছে সর্বগ্রাসী সর্বনাশ। ৪৯০


(চলবে .................................)