আধুনিকতার মাত্রাখানি করছে সদা মানের হানি, ছেলেমেয়েরা বদলে যাচ্ছে সময়ের সাথে সাথে,
পাশ্চাত্যের সব সংস্কৃতির হাওয়া চারদিক থেকে করছে ধাওয়া, বদলাচ্ছে স্বভাব প্রতি দিন-রাতে।
ভালোবাসার এখন দিবস লাগে, কে ভালোবাসা দেখাবে আগে তা নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা খেলা,
কতো যুগলে লোকসম্মুখে প্রিয়জনকে জড়িয়ে বুকে পড়ছে ঢলে প্রেমের জোয়ারে সারাটি বেলা।
ভালোবাসতে আড়ালে কোথাও ছেলেমেয়ে নিজেকে লুকাও- এটা না হলে ভালোবাসাবাসি হয় না,
আসল নামে যাবে না ডাকা, নিজেরাই নাম হচ্ছে রাখা, জানু, সোনা, কলিজা, বেবি, ওরে ময়না।
লং ড্রাইভ কিম্বা রেস্তোরাঁয় খাওয়া, নদী-সাগর কোলে বেড়াতে যাওয়া, সেগুলোও সেকেলে বুঝি?
একান্তে কাছে পেতে দেহে দেহে মিশে যেতে পার্কের কোণ, ঝোপঝাড়, নির্জন আড়ালকেই খুঁজি!
প্রেম পবিত্র, প্রেম সত্য- সে কথা ভুলে গিয়ে তারা নিত্য করে যায় অশ্লীলতার দাপুটে কোলাহল।
স্বাভাবিকতার মাত্রা ছাড়িয়েছে কবে! নোংরামিতেই এগিয়ে রবে এ সময়ের কপোতকপোতীর দল। ৫৭০
প্রায় হয় যাওয়া হোটেল ডেটে যদি দুই দেহের তৃষ্ণা মেটে, ধর্ম-সমাজ-সংস্কার-রীতির মুখে ছাই,
দেহ ও মন আবেগে ভরা আগে হোক তাদের শান্ত করা, প্রেম মানে দেহ ভোগ- তারা বুঝে তাই!
লোকচক্ষুতে ছিটিয়ে বালি, বাবা-মায়ের মুখে চুনকালি, দুর্নাম-বদনামে কান দিলে কী আর হবে!
সময় থাকতে উপভোগ করো, মজা লুটে নিয়ে সটকে পড়ো, প্রমাণ না থাকলে চিন্তা না রবে।  
‘যা যা খুশি বলুক লোকে, আমার জীবনে চাই-ই তোকে, এ জীবনে তুই ছাড়া আমার কেহ নাই,
দুটি মনতো জোড়া লেগেই গেছে, তোকে লাগবে আরও কাছে, দেহে দেহেতে মিলেমিশে যাই।’    
এই হলো এখন প্রায় সব প্রেমের বাণী, ঘর ছেড়ে ছেলে রাজা, মেয়ে রাণী, প্রেমের নামে খেলা,
স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি ভুলে, পড়াশুনা শিকেয় তুলে চলে প্রেমিক-প্রেমিকাদের রোমান্স সারাবেলা।    
কীসের জীবন? কীসের আশা? সবার আগে প্রেম-ভালোবাসা, গোল্লায় যাক পিতামাতার সম্মান,
নোংরা প্রেমের খেলায় মেতে উত্তেজনার সেরা সুখ পেতে বিলিয়ে দেয়া সম্ভ্রম, সতীত্ব খান খান। ৫৮০


(চলবে)