আনন্দ আর বিনোদনে এবং কোনো উৎসবের ক্ষণে মাত্রা ছাড়ায় ছেলেমেয়েদের উচ্ছৃঙ্খলা
রঙ বেরঙের আলোক জ্বেলে উড়ন্ত ধোঁয়া হাওয়ায় ফেলে দেদার চলে উদাম নৃত্যখেলা।
ছেলেমেয়েতে নেই ভেদাভেদ, নেই ভালো-মন্দের বিভেদ, বেখেয়াল উম্মাদনার জালে
মাদকতার ঝর্ণাধারায় সভ্যতার শেষ বিন্দু হারায়, বিষম নাচানাচি বেসুরো সঙ্গীতপালে।
তারকাখচিত রেস্তোরাঁর কোণে, পাচ তারকা হোটেলের লনে রাত প্রহরে চলে মত্ততা,
উৎসবের নানা নামে নেশা করা ধূমধামে, সুরাপাত্রে নারীভোগ, চলে অদম্য অশ্লীলতা।  
যার যতো টাকা উড়িয়ে পকেট করে ফাঁকা, গলা ভরে ঢালে দামী বিদেশী সুরার পাত্র,  
স্বল্প বসনে নারী নেশা করে নাচে ভারী, যৌবন বিলিয়ে দেয়, পুরুষে ঢেলে দেয় গাত্র।
উঠতি বয়সী যারা লাফিয়ে যে ওঠে তারা, সভ্যতা-শ্লীলতা থাকে না তাদের ধারে কাছে,
বিত্তবানের সন্তান সুরাপাত্রে গায় গান, পাপের পথে আয় ব্যয়ে যে পাপকেই ধরে আছে। ৫৯০  
রাত যতো বাড়ে শহুরে রাস্তার ধারে নেমে আসে পরী সেজে দেহকে পসরা করে রেখে,
সোডিয়াম আলোখানি মুখে দেয় ঝলকানি অর্থবান খদ্দেরও এসে যায় মুখ ঢেকে ঢেকে।
দিনের আলোয় যারা সভ্যতার মুখোশ পরা তাদেরও দেখা মেলে রাতের শহরের পথে
কেউ ঘরে স্ত্রী রেখে, কেউ কামনার ঝর দেখে, কেউ ফের হতাশা ভুলতে কোনোমতে
শরীরটা হেলেদুলে আরামে দুহাত ঝুলে দুচোখ খোঁজে পথের আড়ালে থাকা নারীদেহ
লোকচক্ষুর আড়ালে এসে অশ্লীলতায় গেলে ভেসে কেউ জানেনা আর, দেখেও না কেহ।
সভ্য সমাজে আজ অসভ্যতার কারুকাজ কতোটা মানিয়ে গেছে তার হিসেব মেলা ভার,
নারীদেহ সে যেনো পণ্য নানা দামে বিক্রি হয় ভোগের জন্য; রাতের বুকে কি অনাচার!
নারী এ পথে আসে দুর্ভাগ্য স্রোতে ভেসে, কেউ আসে বাধ্য হয়ে, কেউ সময়ের হাওয়া
গায়ে লাগিয়ে নিজেকে নিয়ে যায় ধ্বংসের সীমানায়, কারো ফের এই জীবনই চাওয়া। ৬০০


(চলবে)