কতো যে নারী অধিকার বঞ্চিত, কষ্টে থাকে অবিরত, দারিদ্র যার ভাগ্যের অখন্ডনীয় লেখা
যেখানে কুসংস্কার অধর্মের গোঁড়া কপালেতে বিষফোঁড়া সেখানে নারীমুক্তি যায় না দেখা।  
অসহায় যে নারী ছেড়ে যায় বাড়ি, এখানে ওখানে বেড়ায় ছুটে দু’বেলা মুখের অন্ন যোগায়,
শুধু একটা কাজের আশায় ঘুরে পথে পথে বাসায় বাসায়, এই সুযোগে কেউ তারে ভোগায়।    
অশিক্ষা ও অসচেতনতা লিখে তাদের ভাগ্যখাতা যে খাতার প্রতি পাতায় পাতায় গ্লানির বান,  
বাধ্য হয়ে ঘর বাড়ি ছেড়ে প্রতারণার চক্রে পড়ে কতো নারীর সম্ভ্রম যায়, আশা হয় খানখান।  
অসহায় কতো পুরুষ আছে বাধ্য হয়ে যায় অন্যের কাছে, কিছু টাকা চায় কিম্বা কিছু খাবার,
বাঁচতে হলে এই না ভবে একটা কিছু করতে হবে, এই তাড়নায় আর পায় না কিছু ভাবার।  
পায় না যখন মানব সাড়া, ভুল পথে পা বাড়ায় তারা, অসহায়ত্বের চাপে পড়ছে কারো জালে,
অবুঝ অনেক শিশু আছে হার মেনে যায় লোভের কাছে, না বুঝে দিচ্ছে ধরা শিশুধরার চালে। ৬৭০  
যারা অকাজ কুকাজ করে কালো টাকার পাহাড় গড়ে তাদের চাই আরও আরও কালো টাকা,
মানবতা নেই তাদের মনে, নিষ্ঠুরতা প্রতিক্ষণে, ধরতে মানব দলে দলে ওত পেতে হয় থাকা।
করতে হবে পাচার মানব, টাকার লোভে সেজে দানব ধরছে জালে কতো শিশু-পুরুষ-নারী!    
চোরাপথে দল সাজিয়ে আইনের লোকের পকেট ঝাজিয়ে কতো জনকে পাঠাচ্ছে দেশ ছাড়ি!  
কারও দেহ কেটে টুকরো করে অঙ্গ বেচে মহা দরে, কেউ হয় ভিক্ষুক, কেউ হয় ভোগ্যপণ্য,
কারও রক্ত বেচে দেয়া হয়, কেউ অশ্লীল ছবিতে করে অভিনয়, কেউ দাস হয় বাঁচার জন্য।  
ভিন দেশে ভিন মানুষ হয়ে কেউ যায় কষ্ট-গ্লানি সয়ে, চোখের জলে ভেসে জীবন করে শেষ,  
কেউবা যায় অন্ধকারে দেহ বিলোয় ভোগের তরে, কেউবা ফের বিদেশ হতে হচ্ছে নিরুদ্দেশ।
পাচারকৃত খোকা-খুকি হচ্ছে কোথাও উটের জকি, ভাগ্যদোষে পাচার হয়ে শেষ হয়ে যায় জান।  
কালো টাকা কামায় যারা আপন মন্ত্র জপছে তারা ‘আদম বেচে বাড়াও কালো টাকার পরিমান’। ৬৮০