বাবুদের ব্রিফকেস বা গৃহিণীদের সোনার নেকলেস চুরি গেলে চিৎকার করে বলি ‘চোর, চোর’
ইমারতের ভিড়ে যারা বিকেলের সোনারোদ চুরি করে, পুকুর-সাগরচুরি আর লোপাটে তৎপর,  
কলমের খোঁচায় সাহেব-বাবু সেজে কাজে বা অকাজে যারা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা
ব্যাংকের সঞ্চয় বিনা কাগজে বিনা নিশ্চয়তায় ঋণের নাম নিয়ে ব্যাংক ভল্ট করে দিচ্ছে ফাঁকা
তাদের কজনকে আইনের জালে ফেলা কি আর হয় কোনো কালে? তারা যে রুই-কাতলার দল,  
নিয়ে যায় ঋণের নামে হাজার কোটি টাকা, যোগসাজসে নেতা থাকে, থাকে ক্ষমতাধারীর বল।
যারা সব চুনোপুঁটি ক্রেডিট কার্ড বাহক কিম্বা নিয়েছে কিছু ঋন, তারা  স্বস্তিতে থাকে এক দিন?
সময়ে অসময়ে ক্ষুদে বার্তা আর ফোন কলে জীবনে আগুন জ্বলে, সুখটুকুও হয়ে যায় যে বিলীন।  
ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক, এমডি-ত্রয়ী মিলে অবাধে দুই পাখি মেরে যায় শুধু এক ঢিলে,
ভুঁইফোঁড় ব্যাবসায়ী ক্ষতির মুখের ধরাশায়ী ব্যাংকের ক্যাশে লোভ পড়ে, তাই সে রূপ নেয় চিলে। ৭১০
ছোঁ মেরে নেয় সব, সাথী আছে তারা ব্যাংকের ভিতরের লোকজন যারা, ‘টাকা লাগে যতো নিন’,    
হিসেবের খাতাগুলি বাতাসেতে হয় ধূলি, হিসেব করে বলতে পারবে না কেউ, কার কতো ঋণ।
যাচাই বাছাই নেই, সুদাসলের হিসেব নেই, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেই, নেই কোনো শৃঙ্খলা,
আত্মীয় স্বজন তরে কিম্বা শুভাকাঙ্ক্ষী ধরে খেয়াল খুশিমতো ঋণের উপরে ঋণ হচ্ছে যে তোলা।
যার রাজনীতি মা-বাপ সে আবার পাচ্ছে মাফ, যাকেইবা হচ্ছে ধরা শুধু লোক দেখানোর তরে
থাকতে হয় না জেলে ক্ষমতার টোপ ফেলে জামিনে মুক্ত হয়, ব্যাংক অসহায়, থাকে চুপ করে।
হাজার কোটি টাকা কীভাবে যায় রাখা? রিজার্ভ তারল্য নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও হলো যে দায়ছাড়া,
বিনিয়োগ হয় না দেশে, লাভ নেই এতো তরল ক্যাশে, ডিজিটাল ব্যাংকিংও হয়ে পড়লো দিশেহারা,    
ঋণ খেলাপিদের চোটে ছোট ব্যাংকের জান ছোঁটে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভল্টে রাখে ডলার কোটি হাজারে,
রক্ষাব্যূহ ছিন্ন করে লোভীচক্রের ফাঁদে পড়ে কোটি ডলার চুরি হয়ে গেলো ফিলিপাইনের বাজারে। ৭২০


(চলবে)