বিমানের যখন জান যায় যায় ট্রেন যে তখন দুরবস্থায় হামাগুড়ি দিয়ে চলে শ্বাস কষ্টে ভোগে  
ট্রেনের বেহাল দশা যাত্রীসেবায় দেয় কষা, উন্নয়নের উল্টোগতি ট্রেনকে ভোগায় যতো রোগে।
ট্রেনের সেবা বাড়ুক-কমুক লাভ পেয়ে যায় অমুক-সমুক টিটি কর্তা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়,  
উন্নয়ন করে কেবা? কে বাড়িয়ে দেবে সেবা? ট্রেনে সংশ্লিষ্টদের অসীম দুর্নীতি চলে সব সময়।  
গ্যালন গ্যালন তেল ভরা রয় মাঝপথে সেই তেল চুরি হয় তেলচোরের সাথে সিন্ডিকেট করে      
ট্রেনের চালক তত্ত্বাবধায়ক মিলে দুই পাখি মারে একটি ঢিলে সুবিধা বুঝে নিজের পকেট ভরে।
ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করে, বাড়তি টাকা ঘুষের বরে ট্রেনের কর্তা কর্মচারীরা লাট হয়  
ট্রেনের চাকা থমকে দিয়ে ভাগের টাকা বাগে নিয়ে সকল আইনের ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়।  
অনিয়ম, ফাঁকিবাজি, স্বজনপ্রীতি, ইউনিয়নবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য করে সবই লুটে-পুটে খেয়ে
কতো কর্মকতা আছে আইনের ফাঁকে বেড়িয়ে বাঁচে, অনেকে দর্শক সেজে দেখে চেয়ে চেয়ে। ৭৫০
নিয়মনীতি সময়ানুবর্তিতা ট্রেনের খাতে ছেঁড়া ফিতা, ক’টার ট্রেন ক’টায় ছাড়ে নেই তো ঠিক,
সীমাহীন অসামঞ্জস্যের গর্তে পড়ে ট্রেন শুধু হাপিত্যেশ করে, মান উন্নয়নের নেই সঠিক দিক।  
দেশে তৈরি কোচকে ফেলে শত কোটি টাকা ঢেলে বিদেশী কোচের পর কোচ করে আমদানি  
দুর্নীতি করে টাকা লুটপাট কতোজনের হয় বাড়ি বিরাট, সম্পদ, গাড়ি, হাতমধ্যে টাকার ঘানি।
ডেমু ট্রেনের ফাঁদটি পেতে মাত্র কয়েক বছর যেতে শখের সেই ডেমুতে গুনতে হলো লোকসান,  
যাত্রী সেবার ক্রমক্ষয়ী মান, ঘন ঘন বিকলতার টান, মেরামতকৃত ট্রেনের সেবায় হতাশার বান।
বছর বছর ট্রেন বাড়ে, বগিসংখ্যা নিত্য কমে উল্টো হারে, সেকেলে লাইনে ট্রেনের গতিও ধীর
যে যাত্রা নিরাপদ হবার কথা সে যাত্রায় থাকে ভোগান্তি ব্যথা, ক্রমে বাড়ছে যাত্রীর আগ্রহে চিঁর।
ট্রেনের পতিত জমি সকল দিনে দিনে হয় যে দখল, রেলের জমির বড় বড় বৃক্ষ, বাড়ি-ঘর-চাল,
ইট-কাঠ লোপাট হয়ে যায়, কর্তা-নেতারা পকেট ভরায়, এ যেনো ‘সরকারী মাল দরিয়া মে ঢাল’! ৭৬০


চলবে ......................................