নিজেরে আমি ছাড়িয়া দিয়াছি, বাড়িয়া গিয়াছে জ্বালা,
দেহ পুড়িয়া হইয়াছে ছাই, অন্তর হইয়াছে কালা।  
এ তব যাতন বিষের মতন পান করিয়াছি দিবা-রাত্র
মনের দাফন কবেই হইয়াছে, শ্মশানে গিয়াছে গাত্র।
ধরিয়া রাখিতে পারিনিকো আমি আমার পোষা পাখি,
খাঁচা ভাঙ্গিয়া উড়িয়া গিয়াছে, আমারে দিয়াছে ফাঁকি।  
স্বপ্ন আমার ছিল হাজার, সব দু-পায়ে করিয়া চূর্ণ
আমার জীবনে আনিয়াছো মরণ বাজাইয়া ঘাতক তূর্ণ।
তুমি ছিলে কার? হওনি আমার, আজ তুমি মরীচিকা,
তবে আমি বলো খণ্ডিবো কিসে এই ললাটের লিখা?
বালুর তটে বাঁধা বাসাখানি বিলীন হইয়াছে ঝড়ে,
নিজের তরে আলো লুটিয়াছো, আঁধার আমার তরে।
মিছে আলিঙ্গনে মাতাল করিয়া কাড়িয়াছো সব সুখ,  
মিথ্যে নেশায় আমারে টানিয়া ভরিয়া দিয়াছো দুঃখ।
নিঃশ্বাসে টানি যে বিষের হাওয়া পচিয়া যাইতে বুঝি
এ হেন ব্যথায় যাপিত জীবন চির মুক্তির পথ খুঁজি।  
মরার আগেই মরিয়াছি আমি, পৃথিবী আমারে চায়না,
আমারে কে বাঁচাইবে বলো? ইহাতো কাহারো দায় না।
ভাঙিয়াছে আশা, মিছে ভালোবাসা, মিথ্যে দুনিয়াদারী,
বিদায় নেবার সময় হইয়াছে, পরকালে দিবো পাড়ি।