ফেরারী সবুজ আর স্রোতহীন কূল,
অনীল আকাশ, রঙ-মৌহীন ফুল,
বেসুরো গানে বাদ্য তাল-লয়হীন,
বসন্ত বাহারহীন, বিষণ্ণ, মলিন,
কৃশকণ্ঠী বিহঙ্গের ভীত-চিৎকার,
ভ্রম্র-ফুলে হাতাহাতি, ঘৃণা, ধিক্কার,
পূর্ণ শশী রূপহীন, ক্ষীণ তার আলো,
জোনাকির আলো ঢাকে তমসার কালো,
রবিরাজ বিরাগ যেন, রৌদ্র নিরুত্তাপ,
ধরণী অপয়া সেজে আনে অভিশাপ!
করুণা বিরল সদা, ভাবনাই মন্দ,
সর্বত্রে রেষারেষি, অবিরাম দ্বন্দ্ব।
যেনো রাঁড়া সকলেই বন মাঝে দাঁড়িয়ে  
অদম্য নিঃশ্বাস ছাড়ে সব আশা হারিয়ে।
নয় মাত-উন্মাদ, সুরাহীন পাত্র,
জরা, ভঙ্গ, পচা আর জীর্ণ যে গাত্র।
বীরও কাঁপে, কাপুরুষ! নেই মেরুদণ্ড,
সাহসে সর্প-দংশন, বিষে সব পণ্ড।
নারীতে শুণ্যসুধা, নেই কোন নাড়িটান,
শুষ্ক, রুক্ষ, মরু সব, চারদিক শুনশান।
শর্বরী দীর্ঘতর, সর্বগ্রাসী রূপ তার,
চারিদিকে আছে যা সব যেনো নিরাকার।
সুখ রাজ্য বহুদূর, বয়ে যায় দুঃখ,
প্রেম-মায়া-মমতা ক্ষীণকায়, রুক্ষ।  
দেবকুল অপচেতা, চলে সব অপথে,
অপকৃষ্ট বাহাদুরি মিথ্যে নানান শপথে।
আঁচাআঁচি মানুষে, বিদ্বান অনিপুণ,
মঙ্গল রয় অধরা, অমঙ্গল বহুগুণ!