যে ভাষা মনের গভীর থেকে আমতা আমতা করে বের হয়
   যে ভাষার চতুর্পাশ জুড়ে ভীরুতা, দ্বিধাগ্রস্ততার সমন্বয়,
         যে ভাষা বের হতে গিয়ে পাক খায় বাঁকে,
      যে ভাষার সবটা যেনো ভিতরেই লুকিয়ে থাকে,
       যে ভাষা আসে না কানে, যায় না বোঝা কিছু,
         যে ভাষা লেগে থাকে সন্দেহের পিছু পিছু,
   যে ভাষা কী হবে না হবে- ভেবে কোনো কূল না পায়,
    সে ভাষা শুধু উন্মত্ত মুহূর্তের এক লোভাতুর অভিপ্রায়
       বক্ষের মধ্যেই সহসাই যা নিঃশেষে তলিয়ে যায়।
           অস্থায়ী, আপাতউজ্জ্বল, ক্ষণভঙ্গুর সে ভাষা,
             আশা সঞ্চারিণী নয়, শুধু জাগায় হতাশা।
         যা কিছু খাঁটি, যা কিছু সত্য, যা কিছু চিরায়ত
    মনের গভীর থেকে তা বেরোয় বিজলী-ঝড়ের মতো।
         মিথ্যে সে তো ভীরু, ভঙ্গুর, অদূরেই যায় মরে;
              সত্য সে তো চিরসুন্দর, সদা উজ্জ্বল,
          সম্পদ হয়ে যা বিরাজ করে যুগ যুগ ধরে।