আজ ১৭ মার্চ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মদিন।
মহান এই নেতার জন্মদিনে মোনায়েম সাহিত্যের
সামান্য উপহার।
__________________________
আজ হতে সাতানব্বই বছর আগে জন্ম নিলে তুমি,
তোমার আগমনে জাগরিত হলো এই বাংলা ভূমি।
টুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবারে বাড়তে থাকলে 'খোকা',
শান্ত শিশু কিশোর বয়সেই হয়ে উঠলে একরোখা।
গ্রামের স্কুলের তুখোর ছেলেটা প্রতিবাদী মন নিয়ে
রাজনীতিতে পাকালে যে হাত স্বাধীনতা স্বপ্ন দিয়ে।
কিশোর বয়সে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ফলে
অজ পাড়াগাঁর সুপ্রিয় খোকা কারাগারে গেলে চলে।  
তোমার প্রতিবাদী কন্ঠে ছিলো যে অগ্নিধারার রেশ,  
তোমার জন্মেই হয়েছিলো শুরু ব্রিটিশ দাপট শেষ!
গোপালগঞ্জের এ তরুণ খোকা কোলকাতাতে গিয়ে
জাগিয়ে দিলে জনমানুষকে তুমি বিপ্লবীর মন নিয়ে।  
সোহরাওয়ার্দী, শের-ই-বাংলা, আরও কতো নেতা
তোমার দেশপ্রেমে মুগ্ধ ছিলো, বলতে পারে কে তা?  
সাতচল্লিশে যখন ভারত ভাঙ্গনে গড়লো পাকিস্তান,
তা থেকে তুমি পেয়েছিলে ঠিকই নির্যাতনের ঘ্রাণ।    
পশ্চিম পাকিস্তানীদের নির্যাতনের খড়গ দিতে রুখে
প্রতিবাদী হতে সহকর্মীদের দুঃসাহস দিলে বুকে।
অসাম্প্রদায়িক চেতনায় তুমি ভরালে দেশের মাটি,
প্রতিবাদ আর আন্দোলনে সে মাটিও করলে খাঁটি।
সাতচল্লিশের দেশ ভাগ আর স্বাধীকার আন্দোলনে
সাহস যোগালে, অনুপ্রেরণা দিলে তুমি প্রতি ক্ষণে।
বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন ও ছেষট্টির ছয় দফায়
নেতৃত্ব দিলে সামনে থেকে, নত হওনি যে রফায়।
চিরভাস্বর হলে 'বঙ্গবন্ধু' নামে, অবিসাংবাদিত নেতা,
তুমি সাহসী বীর যে ছিলে, ত্রিভুবন দেখেছে যে তা।
সত্তরে হলে দিগ্বিজয়ী তুমি, নাড়িয়ে যে দিলে সব,
একাত্তরের বিজয়ে তুমি হলে জনমানুষের কলরব।
স্বাধীনতার মহানায়ক, যারা বুঝেনি তোমার মর্ম,
তারাই তোমাকে বাঁচতে দেয়নি, করেছে পাপকর্ম।
মরেও তুমি অমর হয়েছো, বেঁচে থাকবে প্রতিক্ষণে,
হে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, থাকবে সবার মনে।
কোটি কবিতা-উপন্যাসও যে মনে হবে অতি অল্প,
কখনও বলে শেষ হবে না যে একটি খোকার গল্প।
যতোদিন রবে পদ্মা, যমুনা, গৌরী, মেঘনা বহমান,
ততোদিন রবে কীর্তি তোমার, শেখ মুজিবুর রহমান।
___________________________
(শেষের দুটি পংতির জন্য কবি অন্নদা শংকর রায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।)