প্রাতিষ্ঠানিক সনদপত্র থাকিলে কি আর শিক্ষিত হওয়া যায়?
সনদপত্র দেখিয়া মানুষের জ্ঞান মাপা বড় দায়।
আমি বহু সনদপত্রধারীকে দেখিয়াছি তারা মূর্খ্য অধম,
আবার বহু সনদপত্রহীনদের দেখিয়াছি তারা উত্তম।
এক লোক এসে শিক্ষিত বেশে সনদপত্র দেখাইয়া বলিল অনেক কথা,
ভাবিলাম আমি,  স্মরণ করে তোমায় হে জগৎস্বামী-
বাড়িল কেনো মোর বুকে দহন ব্যথা?
জগৎস্বামী মোরে শিখাইলো প্রতিভা না থাকিলে সনদপত্র যে বৃথা।।
আরেক লোক এসে অশিক্ষিত বেশে সনদপত্রহীন বলিল কিছু কথা,
বুঝিয়া আমি স্যালুট দিয়া তাহারে, বলিলাম প্রকৃত শিক্ষা উহারেই বলে ।।
তুমি শিক্ষিত কিনা সমাজ দিবে তার স্বীকৃতি,
কিন্তু প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি দিয়ে তোমার মেধা করেছে বিকৃতি।
অনেক জ্ঞানী বলিবেন প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি দিলেই সমাজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
আমি অধম বলিলাম এটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।।
কারণ সমাজ দেখে মানুষের জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেক, বিচক্ষণতা।
আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখে মাত্র মানুষের গ্রন্থগত বিদ্যা।।
যে ব্যক্তি ভাবে সনদপত্র থাকিলে সে একজন বড় শিক্ষিত,
আমি বলিলাম সেই জগতের সবচেয়ে বড় অশিক্ষিত।
যদিও শিক্ষিত-অশিক্ষিত যাচাই করা বড় দায়।
তবুও প্রকৃত জ্ঞান, বুদ্ধি,বিবেক আছে যার তাকেই শিক্ষিত বলা যায়।
বিঃদ্রঃ- লেখার মাধ্যমে লেখকের চরিত্র বিশ্লেষন করা ঠিক নয় । কারন একজন লেখক অনেক ধরনের লেখা লিখে থাকেন ।পৃথিবীতে যাদের চরিত্র সবচেয়ে বেশি তারা হলেন লেখক । লেখকের নিজের চরিত্র স্বয়ং লেখক ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো মানুষ জানেন না । মাঝে মাঝে লেখক নিজেই জানেন না তার চরিত্র! তবুও আপনারা যদি উক্ত কবিতাটি দ্বারা চরিত্র বিশ্লেষন করতে যান তাহলে দয়া করে কবির চরিত্র বিশ্লেষন করুন,আমার চরিত্র না । কারন আমি একজন অধম,অশিক্ষিত মানুষ ।