সেই দিন, যেদিন নতুন করে
জন্ম হলো এক নতুন জাতির,
সেদিন রব উঠেছিল সবার দীপ্ত কন্ঠে
গমগমে কণ্ঠে যা বলেছিলেন আবৃত্তিকার।


আবৃত্তি করেছিলেন, 'তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে
ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল।
এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম, আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম'।


আপনার অপেক্ষায় না থেকে
গ্রহণ করেছিলেন তিনি নেতা-কবির দৈত স্থান।
বজ্রকন্ঠে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়েছিল বাতাস
যেন তা নরককে জ্বালানোর জন্যেই নরকের আগুন।


লাখো জনতার কন্ঠে কেঁপে কেঁপে উঠেছিল বাতাস
দীপ্ত থেকে আরো প্রদীপ্ত হয়েছিল আবৃত্তি।
যতদূর ছড়িয়ে পড়েছিল ঐ গমগমে কন্ঠ
কন্ঠ শুনেই শিকারির মত রূপ নিয়েছিল সবার দৃষ্টি।


আজও পথে প্রান্তরে
যদি শুনি সেই আবৃত্তিকারের আবৃত্তি,
বুক ভরে শ্বাস নেই
আর দু-চোখে ছেঁয়ে যায় শিকারির দৃষ্টি।


বিকারাগ্রস্থ মানুষের মত
ছুটে চলি কোন না কোন মহাসমাবেশে।
আবার সেই আবৃত্তি শুনি, মোহিত হই
কিন্তু চেতনার কাছে ঋণে পড়ে যাই অবশেষে।


শানিত দৃষ্টিতে খুনের নেশা
বজ্রকন্ঠে ধ্বনিত হয় মোহাগ্রস্থ কথা,
ভুলে যাই আমি কে, আমি কার,
কার নেতৃত্বে তুলছি মাথা!