তুমি হাঁটছো পথে পথে
আর, নয়নাভিরাম দৃশ্যপটে হারিয়ে ফেলেছো মন।
অথচ, এই পথেরই দু-পাশে
কত শিশু পরে আছে, তা-কি দেখছে তোমার দু-নয়ন।


তুমি দেখছো, হাজারো ফুল ফুটেছে বাগানে
তাই দেখে তোমার মন, প্রজাপতি হতে চাইছে এখন।
অথচ, তুমি কি তাকিয়েছ কখনও এই জগৎ সংসারের পানে
কত ফুল ফোটার আগেই ঝরে যাচ্ছে প্রতিসময়-প্রতিক্ষণ।


তুমি হাঁটছ সমুদ্র সৈকতে
আর সকালের স্নিগ্ধ রোদ মাঁখছো গায়ে।
অথচ, তুমি কি কখনও ভেবেছো আনমনে
স্নিগ্ধ রোদ নয়, কেউ কেউ এসেছে পেটের দায়ে।


তুমি দেখছো ছোট ছোট ঢেউ এসে ভাঙছে তীরে
তাই দেখে, ঢেউ হওয়ার কথা ভাবছো মনে মনে।
অথচ, তুমি কি কখনও শুনেছো আনমনে
কত নাবিকের মরণ চিৎকার মিশে আছে এই ঢেউ-এর মাঝে।


তুমি জ্যোৎস্না রাতে হাঁটছো কোন রমণীর হাত ধরে
আর নিজেদেরকে হারিয়ে ফেলেছো কল্পনার মাঝে।
অথচ, তুমি কি তাকিয়েছো কখনও রাতের রমণীদের দিকে
তোমারই মত কারো সাথে আছে, যন্ত্রণাময় বাস্তবতার সাথে।


তুমি দেখছো আকাশের বুকে কত তাঁরা জ্বলছে
তাই দেখে তাঁরা'র মাঝে হারিয়ে ফেলেছো অস্তিত্ব।
অথচ, তুমি তাকিয়েছো কি কখনও রাতের পৃথিবীর বুকে
কত তাঁরা নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে আছে, হারাতে বসেছে অস্তিত্ব।


নিজের সমস্ত অস্তিত্ব বিলীন করার আগে
একবার ফিরে তাকাও অসহায় পৃথিবীর দিকে।
যে পৃথিবী বাঁচার জন্য হাহাকার করছে
তোমার দুটি হাত বাড়িয়ে দাও তার দিকে।


তুলে আনো ঐ পৃথিবীকে
পাপ-পঙ্কিলতা আর অসহায়ত্বের বুক থেকে।
কারন, তোমার গড়া এই পৃথিবীর মাঝে এমন সৌন্দর্য খুঁজে পাবে
যা না দেখলে, তোমার অতীতের সব সৌন্দর্য্যই অপূর্ণ রয়ে যাবে।