বাড়ির উঠোনে
রোপণ করলাম যতনে
একটি কুলের চারা,
গভির মমতায়
আঁচলের ছায়ায় ছায়ায়
বাড়তে দেখে হলাম আত্মহারা।
একটু একটু করে চারা বাড়ে
সবার মাথা ছাড়ে
একসময় চারা,গাছে হল পরিণত,
প্রতিদিন উঠোন ভরে
কাঁটা আর পাতা পড়ে ঝরে
তবুও, রাগ না করে খুশিতে হলাম উল্লাসিত।
তারপর একদিন
আনন্দে নেচে উঠলো মন
দেখলাম, ফুলে ফুলে ভরে গেছে ডালপালা,
প্রত্যহ মৌমাছির গুনগুন
উড়ে উড়ে ঘটায় পরাগায়ণ
তারপর ফুল থেকে ফল জানায় আগমন বার্তা।
আস্তে আস্তে ফল বড় হওয়ায়
প্রতিদিন গাছের তলায়
সবাই ভিড় জমায়,
সবাই নিজের মত করে
ফল নেই দুই হাত ভরে
অথচ, দুই দিন আগেও এরা আসেনি গাছের তলায়।
আসেনি কেউ কাদা হাতে
চারার গোড়া লেপে দিতে
কেউ দেয়নি ছায়া আঁচলের,
আবার,ফল শেষ হলে
জানি,সবাই যাবে ভুলে
তারা আবার হবে স্বার্থপর।
আর যদি ভাগ্য দোষে
কখনই ফল না ধরে গাছে
তাহলে, চোখের দেখাও কেউ দেখবে না তাকিয়ে,
আমি গভীর মমতায়
আঁচলের ছায়ায় ছায়ায়
বড় করেছি বলে পারবো না চোখ ফেরাতে।
আমার মত করে
কেউ রাখেনি আঁকড়ে ধরে
তৈরী করেনি কোন বন্ধন,
নিজের স্বার্থ নিয়ে
থাকে সবাই মেতে
স্বার্থ ছাড়া, সম্পর্ক করার সময় আছে কার কখন!