দিগন্তের পরে কচি পাতার হাতছানি
জলে- স্থলে, কল-কাকলিতে আনন্দ মুখরিত ধ্বনি
শরতের মেঘে মেঘে ভেসে ভেসে  যায় গাংচিল
নববধূর লাজুক চোখে আগামীর বর্ণালি দিন
কত শত শত রঙিন স্বপ্ন দেখে-
সহস্র প্রাণের নির্যাসে এ্যাঁকেছিল লাল-সবুজ ক্যানভাস।
বাতাসে লাশের গন্ধ মুছেনি এখনও
স্বপ্ন মাখা সেই ক্যানভাসে অাজ
দেখি হায়ানাদের পুন:জন্ম
সভ্যতার হিংস্রতায়- শুনি অার্তনাদ
নির্জন পেঁচার রাতে
তারপর দেখি, ছিন্ন মস্তক কচুরিপানার নিচে।
সভ্যতার অাধুনিকায়ন মোড়কে
অন্ন স্তুপ ডাস্টবিনে,
অনাহারীর কঙ্কাল চিত্রকলায়
পদ্মভূষণ নিয়ে পঞ্চমুখ।
নতুন সভ্যতার অাড়ালে
উচ্ছাসিত চোখের রঙিন স্বপ্ন
মরিচিকার মত চিকচিক করে
চাপা পরে যায় নির্মম অাধাঁরে।
শুধু একটি গোঙানো শব্দ তীব্রতা নিয়ে
অাবার বিলীন হয়ে যায় পাঁজরের ভিতর।
চারিদিকে দেখি অাজ-
বিষাদ ভর্ৎসনা  নিয়ে তাকিয়ে অাছে সহস্র চোখ
অার অসহায় কলঙ্কিত অামি ঘৃণিত মৃত্যুর অপেক্ষায়।।