ধর্মের নামে ভাগ করেছি এই ধরণীকে,
কিন্তু চাঁদ তারার ধর্ম কি হবে?
বহমান নদীরতো অনেক নাম দিয়েছি,  
কিন্তু ঢেউয়ের ধর্ম কি হবে?


জমজমের পবিত্র পানি, গঙ্গার সেই একই রূপ,
মোল্লার স্নানের যেই পানি পণ্ডিতের একই রূপ।
সব পানি ঠিক একই ভাবে পবিত্রতা আনে,
সব পানিতেই জীবনের একই অনিন্দ্য মানে।
বৃষ্টির পানি,তুষারের পানি,শিশির বিন্দুর কি হবে
মোল্লা পণ্ডিত বলো তবে ঐ পানির ধর্ম কি হবে?


ধর্মের নামে রেখা টেনে ভাগ করলে ভূসীমানা
একই বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে নেই কারো মানা।
বাতাস তো একই ভাবে সবাইকে জীবন দেয়,
মুক্ত বাতাসে বুক ফুলিয়ে সবাই নিঃশ্বাস নেয়।
স্বদেশের বাতাস ভিনদেশী বাতাসের নাম কি হবে?
মোল্লা পণ্ডিত জানো কি? বাতাসের ধর্ম কি হবে?


মানুষ যে করে বিভক্ত আর যাই হোক সে ধর্ম নয়,
ধর্মের সবই কাব্যগ্রন্থে একই মনুষ্যত্বের কথা কয়।
এসো সবাই ধর্ম জাত ভুলে মনুষ্যত্বেরই গাই গান,
মানবাতার হাত ধরে পাই উভয় পারেতেই সম্মান।
রাম ভাঙেনি মসজিদ,আল্লাহ্‌ রাখে মন্দিরের মান,
আল্লাহ্ও মন্দিরে আছে ভগবানও মসজিদে সমান।
_________________
লিপি কালঃ বিকেল ৪.২০ মিনিট
২৪-মে মঙ্গলবার ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ  
১০-ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
২৩-ই শাওয়াল ১৪৪৩ হিজরী  
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে  
©️ Copyright সংরক্ষিত ®
প্রিয় কবির জন্মদিনে, শ্রদ্ধেয় কবিকে উৎসর্গ করলাম।