শত সহস্র বছরের ব্যকুলতা নিয়ে হৃদয়ে
মনের দরজায় অসময় আবার কে কড়া নাড়ে
দরজা খুলে দেখি নির্বাক পিপাসিত নয়নে
ঝরা মলিন পাতা ছাড়া কেউ নাই এখানে
এসেছিলে কি তুমি রাতের আঁধারে চুপিসারে।

কত যুগ পার হলো এভাবে দেখি না তোমায়
রাতের নির্জনতা সেকি দারুণ বেদনা জাগায়
কত ভেবেছি হয়ে যাবো তোমার শূন্য আকাশ
যখন তুমি চেয়ে রবে নিভৃত জানালা দিয়ে
বৃষ্টি ভেজা এক স্নিগ্ধ বিকেলে মেঘ শূন্য আকাশে।

এক নির্জন দুপুরে দেখা হোক তোমার আমার
সবুজ ঘাসের নীড়ে ফাল্গুনের শান্ত তটিনী তীরে
পলাশ শিমুল দিয়ে না হয় রাঙাবো তোমায়
আদরে জড়িয়ে তোমায় ভালোবাসার চাদরে
শরৎ প্রভাতে কাশবনের ধারে হাতে হাত রেখে।

যখন কাঁধের আঁচল উড়াবে উদ্দাম বাতাসে
তোমায় নিয়ে যাবো এক অচিন স্বপ্ন স্বর্গের দেশে
কেটে যাবে জীবনের অসংখ্য ঋতু হেসে হেসে
হবে দু'জনার না বলা কত যে কথা নীরবে
ভরে দেব তোমায় নিবিড় আলিঙ্গনের স্বর্গ স্বাদে।

অচেতন আশাগুলো এভাবেই হারায় মনে এসে
কেন যে মন ভুলে যায় তুমি আর আমি অস্পষ্ট
আজ আছি কত দূরে সময়ের নিষ্ঠুর ব্যবধানে
বাস্তবতার কঠিন চাদরে ঢেকে আমি নিজেকে
পৃথিবীর সব আলো নিভিয়ে আছি শুধু অন্ধকারে।
_______________
২৩/০৭/১৬......এথেন্স গ্রীস  
© Copyright সংরক্ষিত ®