কুয়াশার বুক চিরে হাড় কাঁপানো পবনের ছোঁয়ায়
পুষ্পে পুষ্পে জমে থাকে শিশিরের স্নিগ্ধতা
ভোরের সূর্যের কুসুম গরম আলোয় সতেজ হয়ে উঠে,
প্রভাত মালতির অফুরন্ত প্রভায়
সে'কি মায়া জাগানো লগ্ন
মৌমাছির গুঞ্জনে পাতার অবিরাম নৃত্য
আমাকে ব্যাকুল করে তোলে নীলাম্বরী আকাশ
নীলাভ শাড়িতে সেজে,টুকরো টুকরো নীরদ নিয়ে বুকে
প্রাণে দোলা দিয়ে যায় মৃদুল বাতাসের স্পর্শন
রিমিঝিমি মাদল বাজিয়ে বেলাভূমির নরম দেয়ালে
খড়কুটো কুড়ানো আগুনের পাশে বন্ধুদের আড্ডা
সময়ের পায়ে পরিয়ে নীল ধোঁয়াশার নূপুর
উষ্ণতার রঙ্গমঞ্চে শুধুই নিঙ্কন ধ্বনি।
হায় নির্দয় নিষ্ঠুর সময়,
কখনোই থেমে থাকে'না কারো অপেক্ষায়
দর্পনের আড়ালে লুকোনো সময়ের পদচারণায়
হারিয়েছি কত অমূল্য সম্পদ,শৈশব,কৈশোর,যৌবন
ধরণীর বুকে ফিরে আসে অবিরত কতো ঋতু,
সাথে নিয়ে অম্লান মধুময় অনুভূতির ঘ্রাণ।
মাঝে মাঝে প্রবল ইচ্ছে করে,
ধাবনশীল জীবনের দৌরত্বের সকল ক্লান্তি ভুলিয়ে
নিভৃত হৃদয়ের সব জানালা খুলে ফিরে যাই
অনিন্দ্য অতীতের সুন্দর প্রদ্বিতীয় মুহূর্তে  
অবিষ্ট ধুলোবালির প্রাচীনতা ঘেরা আনাচে কানাচে
কোজাগরী রাতের বুকে মাথা রেখে স্বপ্নের দ্বারে,
যেখানে আজো বিদ্যমান,
শৈশবের শিশির ভেজা পায়ের চিহ্ন
পুকুর ঘটে শামুকের মেলা,খেঁজুর শাখে ঝুলন্ত হাড়ি
ভাপা পিঠার মনোমুগ্ধকর সুস্বাদু সৌরভ
কলাপাতার পিঠা, তালের শ্বাশ,চিড়ের নাড়ু
অনেক সাধ জাগে মনে,জীবনের সকল ভ্রান্ত কোলাহল ছেড়ে
অনাদিকালের সম্পর্কের ছায়ায় হারিয়ে যাই নির্দ্বিধায়।
_____________________  
জন্মকাল: অলস বিকেল ৪.২৫ মিনিট
১৮ ডিসেম্বর সোমবার ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে
© Copyright সংরক্ষিত ®