বিংশশতাব্দীসবিতাস্তলগ্নক্ষণে সর্ব বাধাদ্রিশ্রেণি পশ্চাদাভিমুখে স্বাগ্রহে  ফেলি
মেদিনীপ্রসূতিঅঙ্কস্থলে নবোল্লাসে পদার্পিয়া পুলকিত নেত্র পাতি উঠিলাম আন্দোলি;
মাতৃক্রোড়ে বৃদ্ধিয়া আপনায় লাভিলাম বদনে মিষ্টভাষ - রসনায় শ্রুতিমধুর বুলি,
দুখোচ্ছ্বাসকলধারা শুরু হতে মোকে আপনাঙ্কে ক্রুদ্ধাচারে স্বাগ্রহে দিল তলি!
একবিংশশতাব্দীআদিত্যোদয়শুভক্ষণে নবসৃষ্টিউল্লাসে মম চিত্তপ্রসূণ উঠিল বিকশি;
সৃষ্টিসুখোল্লাসে আমি হরিষার্ণবোচ্ছ্বাসধারায় মেলি নেত্র উন্মুক্তিয়া বদন উঠিলাম হাসি!
ক্ষুদ্রায়ুতে হেরিলাম বিবিধ দৃশ্য অন্তঃকরণে শায়িত স্বাচ্ছন্দতারে বাহু পাশি,
খেদালোচ্ছটা ঝিকিমিকিছে অপাদমস্তক,দুখ বহিয়া সুখেরে যেকেছি হায় স্বতেজে নাশি!
অসীম চিন্তাহিল্লোলে মম হৃদি উঠিছে হিল্লোলি,হইবে নবত্বের সূচনা - আগমন;
সৃষ্টির মাঝে আঘাতিয়া শয়তানে সাধুতারে বর্ণিয়া সুভাষে করিব সম্ভাষণ!
পশিতে কি পারিব লক্ষ্যাদ্রিচূড়ে, নাকি নিম্নাভিমুখে গতিময় হইয়া হইব পতন!
অসীম সৃষ্টিসম্ভার সৃজিবার পরেই হইবে তো বন্ধ এই প্রসূতিস্তন!
এক শতাব্দী দানিল দুর্লভ কায়া,অপরটির  ক্রোড়ে মোর মনুষ্যধর্মের বিস্তার,
প্রকাশিতে যেন পারি মোর চিত্তানুভূতি,চাহিনা সুখ- সত্যিই,নহে কিছু আর !