পিতঃ,প্রণিপাতি তব
চরণকোমলনীলোৎপলে
অহোরাত্র ঈদৃশ আশীষ মাগি--
অহম্পূর্বিকা অসুমার নেত্রে
চপলমতিত্বঅসৃকে মম অন্তঃকরণে
না উঠে,’অস্বপ্ন’, জাগি;
পার্থিবসম্পদারণ মোকে
অসৈরণসম অসৌষ্ঠবাচারে পুরু
আবরণে না দেয় ঢাকি;
ত্রিমণ্ডলবাসী--স্থিরতা- অস্থিরতা--
সবারে যেন দর্শিতে পারি,নেত্র দ্বারা
মম যেন কেউ না লাভে ফাঁকি;
বিষাদাকূলপাথার যেন নৃত্যে
মম হৃদি জুড়ি, জর্জরিত যেন হই
অম্বরস অস্বীকার্য খেদচাবুকাঘাতে;
অস্মিতা যেন যায় টুটি তব পদরজে
আঁখিলোরসনে,না যেন ভরে
মোকে অস্মিতা আপন গীতে;
সুখঅবগুণ্ঠন টানি না যেন স্থাপে
মম সম্মুখে,না যেন তারে শরম
ভঞ্জি করিয়া লই জীবনের আপন;
মোর শক্তি-প্রজ্ঞা-চিন্তা-ভালোবাসা
যেন নিঃস্বার্থে সমুদ্রমেখলাঙ্কে
সৃজিয়া স্মিত করি সমার্পণ;
সংস্তুত দুখচাবুকাঘাতে শোণিত
সৃজিবে শতাধিক স্রোতোস্বতী
তবুও যেন না নত করি শির;
লক্ষ যন্ত্রণাহসিতকুসুম বিস্তারিবে
অপ্রয়োজনীয় সুবাস তবুও যেন
নাসা রাখিতে পারি স্থির;
সতৃষ্ণ চিত্ত যেন না লাভে সংগতি
উপভোগিতে একটু সুখস্বাদ
লেলিহান রসনায়;
প্রতিকূলতানল যেন দাবানলসম
অহর্নিশ অপাদমস্তজ্বালিয়া
ছারখারে ,’অর্মত্য’,আমায়;
খেদার্ণবে তন্মিয়া সুখালোরশ্মিচ্ছটা
যেন লাভিতে পারি,হই যেন
পিতা সনাতন হ্লাদী;
মৃণ্ময়ীপ্রসূতি যেন চিৎকারিয়া
সৃজে ক্রন্দনধ্বনি তিমির
আঁধারেও শরণি যদি!
-------------সমাপ্ত----------------