ওই দেখ এক গাঁয়ের বধূ
       কলস লয়ে কাঁখে
চলছে নদীর পাড় বেয়ে সে,
       সুন্দর দু'টি আঁখে
তাকায় এ-দিক ও-দিক পানে
       ছন্দে চলে পা,
কলস-ঘাড়ে জড়িয়ে বাম হাত
       একটুও থামে না!
বাম হাত ঘাড়ে ডান হাত নাড়ে
       কোমর খানি ঠেলে
চলছে দেখ গাঁয়ের বধূ
       শরীর হেলে দুলে!
রাঙা বসনে অঙ্গ ঢাকা
       ধূলায় ধূসরিত পা,
কাঁচা সরু পথটি বেয়ে
       এলিয়ে দিয়ে গা
জল নিয়ে যায় আপন মনে
       আপন কুঁড়ে ঘরে;
কুঁড়ে ঘরের শোভা হয়ে
       আছে বহুদিন ধরে!
সোনার তেজ হার মেনে যায়
       তার অঙ্গের কাছে,
কে ছিনিয়ে নেবে তা
       তার জিনিস তো তারই আছে!
ওই অদূরে সুন্দরী বধূ
       কলস ভরে যায় নিয়ে যায়,
এবার যাবে অন্তরালে
       বৃক্ষে তার শরীর ঢাকায়!
আমার গাঁয়ে এমন বধূ
       আছে গো অনেকখানি,
তাদের চলার,রূপের মহিমা
       সত্যিই আমি জানি!

............***...........
             (সমাপ্ত).
............................