নদীর তটে আছি বসে
বইছে যে শীতল হাওয়া,
শান্ত বিকেলের মনোরম বায়
হতেছে মোর নাওয়া!

বাহিয়া চলে জীর্ণ তরী
নেয়ে তার মাথে বাঁধা,
দুই কূলে--তীরে ধায় তরঙ্গ
যায় যে লেগে নেত্রে ধাঁধা!

পশ্চিমেতে রাঙা রঙে হের
আছে ওই বসুধা মোড়া,
শান্ত বায় বিহগকাকলি
হৃদিকে মোর দেয় যে নাড়া!

আমা হতে কিয়দ্দুরে--
অদূরে ওই তৃণশিশুরা
শ্যামলে সবুজে শ্যামলিত সব--
সবুজে সবুজে তারা যে ভরা!

দূরে দণ্ডায়মান ওই বৃক্ষরাজি
পুলকে নাড়িছে আপন মাথা,
এমন সুশ্রী দৃশ্য হেরে গো
ঘুঁচে যায় মোর সকল ব্যথা!

জলাশয়ের পাশে বসি ওই
আপন পালক কাক সাফ করে,
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে চঞ্চুচালনা
ফিরবে বাসায় এবার--আপন ঘরে!

যে দিকে তাকাই সে দিকে হেরি
অঙ্কিত সূক্ষ্ম সুন্দর ছবি,
এরই টানে চিতে আসে কবিতা
এক ফোঁটা বয়সে হই যে কবি!

জীবনে তো কখনও শান্তি মেলেনি
চিরসাথী মোর হয়েছে দুখ,
হাজার কষ্ট-যন্ত্রণার মাঝে--
দুখ মাঝে মোর এটাই সুখ!

                      (সমাপ্ত)