ভরদুপুরে হঠাৎ করি
      আঁধার কেন হায় ঝরে!
ধরার কেন ঘাড় ভেঙে যায়
      ঘোর আঁধারের কঠিন ভারে!

তুষারবিন্দুর মতো কেন
      আঁধার হায় বসুধার 'পরে
আপন মনে হরষে পুলকে
      অবিরাম যে গো নৃত্য করে!

মেঘ করেছে? তাই তো বলি,
       আমি যাই চিন্তিয়া মরে,
প্রকৃতির নিয়ম পাল্টে যাবে
       এত ত্বরা ত্বরা--সত্ত্বরে!

বিহগরা সব তরুর শাখে
       শুধুই যে কলরব করে,
ধরায় হাজার কান্নার রোল
       চারিধার যেন ছড়িয়ে পড়ে!

মাঠের থেকে সব পশুর দল
       ফিরে আসে--আসে আপন ঘরে,
কারও ছানা মাঠের মাঝে
       তাই যায় সে আবার ফিরে!

চিৎকারিয়া আমি সবারে বলি
        যতই পড়ুক হায় ধরাতে বাজ,
কান্না-কাটি আর ছুটোছুটি--
        নাই তো কোনো ইহার কাজ!

চিন্তা নয় তিল আধ শান্ত হয়ে
         থাকো একটু হায় ধের্য্য ধরে,
আবার পাবে উপরে মুক্ত আকাশ
         বেশি নয় একটু সামান্য পরে!

--------------সমাপ্ত--------------
30শে বৈশাখ,1412