গা ছমছম অন্ধকারে
সেই বাংলোয় ঢুকলাম
সিঁড়িতে একরাশ ধুলো
ধুলো চারিদিকে
তবু সিঁড়িতে পা রাখলাম।
বাইরে অসম্ভব জোরে
বৃষ্টি পড়ছিল ;
মাঝে মাঝে মেঘ গর্জাচ্ছিল
বিদ্যুত চমকে চমকে উঠছিল।
সেদিনের সেই ভয়ের রাতে
বাইরে বেরোবার উপায় ছিল না।
মাকড়সার জাল ভেদ করে
অন্দরে প্রবেশ করলাম ;
এক ঝাঁক বাদুড়উড়ে গেল
মাথার ওপর দিয়ে
তারা অভ্যর্থনা করার
মুডে ছিল না।
সামনের ঘরখানা বোধহয় বৈঠকখানা
সোফা আর আধুনিক
কায়দায় সাজানো;
তাই ঐ ঘরে ঢুকলাম
মাঝে মাঝে টর্চ জ্বালিয়ে দেখলাম।
কেউ কোত্থাও ছিল না
সামনে একটা লংকোট ছাড়া
কিছুই ছিল না।
হঠাৎ চলার মৃদু শব্দ পেলাম
ঘাসের চটিদুটো শব্দের সাথে
চলছিল বুঝলাম।
দেখলাম ধোঁয়ার মতো একটা
মানুষ ঐ লংকোটটা পরেছে
ঘাসের চটি পরে বাংলো
প্রদক্ষিন করছে
লক্ষ্য করলাম সেই কোটে
বুকের কাছে একটা গোল
ফুটো রয়েছে।