উনিশ শ পাঁচ সালের
বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন
হাজার হাজার লোক
সে আন্দোলনে যোগ দিল
করল কারাবরণ;
কিশোর ক্ষুদিরাম কারও
পেছনে ছিল না
যোগ দিল আন্দোলন
সবাই তখন ধ্বনি তুলেছিল
"বন্দে মাতরম"
তারপর সে ত যোগ দিল
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ;
ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড করত
অতি অত্যাচার পাষন্ডর মতন।
এক বালক সুশীল সেনকে
বেত্রাঘাত করে নির্যাতন করল
আগুনের মত জ্বলে উঠল বিপ্লবীদল
হত্যার প্রতীক্ষায় থাকল।
বইবোম পাঠিয়ে প্রথমবার
হত্যার বার্তা দিল;
নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনে
গভর্নরের স্যুট আক্রমণ করল।
তখন সফল হয়নি তারা
কিংসফোর্ডকে মজফফরপুরে
বদলি করল
সেখানে ক্লাবের কাছে
ক্ষুদিরাম আর প্রফুল্ল চাকি
আবার আক্রমণ করল।
ধরা পড়ে প্রফুল্ল চাকি
আত্মহত্যা করল।
নির্ভীক বীর ক্ষুদিরাম
হাসিমুখে সে মামলা শুনল।
জজ অবাক হয়ে ওর হাসিমুখ দেখল
"তুমি কি ফাঁসির মানে বুঝে ছ?"
"হাঁ বুঝেছি" বলল কিশোর
তারপর হাসতে হাসতে
ফাঁসির দড়িতে ঝুলল।