পৃথ্বী নাচে আপন তালে সূর্য দেবের রাজসভায়;
লক্ষ তারা নাচে সঙ্গে চাঁদ কত
আলো ছড়ায়।
ঝিকমিক ঝিক ঝলসে ওঠেতারাদের নৃত‍্যবাসের
চুমকিতে;নাচছে তারা নাচছে সবাই যৌবনেরই রঙ্গেতে।
নাচার ছন্দে জন্ম নিল অবাক ধরণীর
হলো সৃষ্টি ;
জীবন দিল ব্রহ্মাদেব আর পবন
দিল বৃষ্টি।
আমরা নাচি ধরার সঙ্গে মাধ‍্যাকর্ষণের
শক্তিতে ;
বিহ্বল হই যতই ভাবি বিজ্ঞানের
এই যুক্তিতে।
কখন হলো এসব শুরু কখন হবে
এর শেষ ;
কেউ জানে না শুধু জানি নাচের ছন্দেই
শেষ।
ব্রহ্মাণ্ড চলে তীব্রগতিতে লয়ে চাঁদ গ্রহ
তারা ;
নাচের ছন্দে পরমানন্দে শত কোটি
বসুন্ধরা।
বিশ্বপিতা তুমি, তুমি ভগবান বিশ্বের
জন্মদাতা;
মর্তলোক তোমার সৃষ্টি তুমিই
পরমপিতা।
তবুও দানব করে রোপণ বিদ্বেষ বিষ
মনে ;
ঘৃণার আগুন জ্বলে ওঠে তাই সকল
অনুষ্ঠানে।
ধর্মের নামে করে অধর্ম করে কত
হানাহানি ;
সত‍্য খোঁজার নাম করে সব করে কত
ভণ্ডামি।
অমৃতমন্থনে উঠেছিল বিষ সেই বিষ
আছে ছেয়ে ;
সৃষ্টি ধ্বংস করতে আসেবিষ দ্রুতবেগে
ধেয়ে।
হিন্দু মুসলমান শিখ খ্রিষ্টান সকলের
পিতা তুমি ;
মানব আমরা সবেভাইভাই মোদের একই
জননী।
জীবন সবার সাধনার  ধন আত্মাই
পরমাত্মা;
দুষ্ট দানবে করিতে দমন এসো তুমি
পরিত্রাতা।