পর্ণী-পত্তর সম তব জান
চপলা কেন এত!
তট-ভূমি সেতো কোন দশায়
কাটাবি কাল কত।
ক্ষুদ্র পত্র-পাদপ সাজিয়েছে তারে
কত সুন্দর;কত রম্য!
আখিদ্বয় শুধু ফিরে দেখে সেথা;
হস্তযুগল চায় ধরিতে-
বেগ তাহার অদম্য।
বিহঙ্গ-রাগ ডানা মেলে হেথা
রূপের গুণে তার,
সন্ধির প্রস্তাব সপে বলে
নেই কোন আড়।
সবিতা তাকে আদর করে
বুলায় স্নেহের হাত,
রোদনে চাহে মনিবের তরে
যেন না আসে রাত।
জোৎস্না রাতের ইন্দু এসে
স্বস্নেহে হাতে বাড়ায়।
তব রূপকে সৃজিয়েছে হায়
বলেই তাকে জড়ায়।


পল্লবীর যৌবন ফুরায়ে শেষে
বার্ধ্যক্যের পদার্পণে,
সকলে তারে ছেড়ে যায় চলে
ডাক নাহি কেহ শুনে।
হরিৎ পত্তর আকস্মাৎ ভাবে
হলুদ বর্ণে সাজে,
মাথা তাহার নুয়ে যায়
যেন মুখ ডাকে লাজে।
বৃক্ষ তারে রাখেনা যে আর
আচড়ে ফেলে রাগে,
পত্র যদি বুঝিত ভবিস্মৎ
সাজাতো-না তারে আগে।


জীবনের ঋজু একই ধাচে চলে
নাই কোন অবকাশ।
সাবধান হও!শুন বলে বেড়ায়
নীলিমা ঐ আকাশ।


রচনা :২০/০৭/২০১২ ইং
শিক্ষাঃ জীবনের সব কিছু চিন্তা ভাবনা করে করতে হয়
কারণ এই জীবন-ই শেষ নয় আসল জীবন তো
রয়ে গেছে।