মুসলিম, তুমি বসে কেন!
চেতনা কি তোমার ভাসিয়া গিয়াছে?
                 জোয়ার-ভাঁটার টানে;
রক্তের উষ্ণতা কি শিথিল হয়েছে?
                   বসন্তের-ই তানে।
যদি না-ই হয়, তবে কেন?
কেন? বসে রও ঘরের কোণে?


হে অশান্ত,
তুমি নিশ্চুপ কেন?
কর্ণ-রঁন্ধ্র কি বঁধির হয়েছে
    দোয়েল-শ্যামার গানে;
শুনিতে কি পাওনা  আর্থনাদ?
     যাহা বাতাস বয়ে আনে।
যদি পাও-ই তবে কেন?
কেন? সাড়া জাগেনা মনে?


হে অভাগা,
কেন আজো তুমি শান্ত?
পশ্চিমে তোমার ভাইয়ের রক্ত স্রোত
         বয়ে যাচ্ছে অজানা এক পথে;
কত মা-বোন হারাচ্ছে সম্ভ্রম
তবু অশ্রু ঝরে সন্তান ফিরে পেতে।
দেখতে কি পাও না তুমি তাহা?
যদি পাও-ই তবে কেন?
কেন? সহায়তার হাত বাড়াও না
                     তাহাদের সনে।


হে আশ্রয়হীন,
তোমার মেজাজ কেন হিম?
রক্ত কনিকার কাজ বন্ধ হয়েছে কি?
               ভাইরাসের আক্রমনে;
না-কি তুমি ঘুমিয়ে পড়েছ?
      কোকিলের গান শুনে।
যদি না-ই হয় তবে কেন?
কেন? ঝাপ দাওনা রণাঙ্গনে?


হে দূর্বারের জাত,
তোমার কিসের ভয়?
সাহস কি তোমার হারিয়ে গিয়েছে
                    অস্রের সমাগমে?
যদি না-ই হয় তবে-
তোমার অগ্রগতি কোন জনে দমে?


হে শ্রেষ্ঠ জাত,
তুমি লাঞ্ছিত কেন?
বিধর্মীদের হুংকার কি তোমাকে
                   হার মানিয়েছে;
                 করেছে কি জব্ধ?
যদি না-ই হয় তবে কেন?
কেন? তুমি নিরব নিস্তব্ধ?


রচনাঃ ০৭/০১/২০১২ ইং