নাড়ির টানে বাড়ী ছুটে চলা কি-যে মোহ-মায়া;
শত বাঁধা-বিপত্তি ফেলে তবুও চলে জীবন-কায়া।


প্রিয়জনের অপেক্ষার দীর্ঘ প্রহর অন্তর পোড়ায়;
বসে আছে মা-বাবা-
ভাই-বোন, চোখে ভাসে
সেই প্রিয় মুখ, আরও যত আছে মণিকোঠায়।


এযে কি মোহ-মায়া, আবেগের চরম পীড়ন;
একটু হাসি কিম্বা-
ছলছল নয়নের অব্যক্ত ভাষা;
নিমিষেই মুছে দেয় হৃদয়ের জমা তুর্য-স্খলন।


একটি দিন বা ক্ষণ-মূহুর্তে গড়া মোহন মালা;
স্খলিত আবেগে মিলায়-
পাওয়া-না-পাওয়ার হিসাব কষি,
প্রাপ্যতার সাথে অপূর্ণতার বিয়োগ-জ্বালা।


তবুও জীবন বাজী রেখে আসতেই হবে ঈদে;
এ-আনন্দ অনন্ত-
ট্রেনে-বাসে না হয় ট্রাকে,
গাদাগাদি করে চাপা খেয়ে মরি, চির নিদে।


কত মরে, পঙ্গু হয় ডানা-গজানো উইপোকা;
অপ্রস্তুত-অকার্যকর-
যানবাহনের প্রলোভিত শ্রমিক-মালিক,
অর্থের মোহে জীবন নিয়ে খেলে, দেয় ধোঁকা।