অঙ্গে তোর শত মোকাম দেহে লক্ষ বন্দর-
মালিক-মওলা বানাইছে তোরে দেখতে কি সুন্দর;
ভাবছিস কিরে নিজের মতো দেহ কি শুধু তোর?
নিজের দেহের পরবাসীর রাখছিস-নি খবর?
তারা বসে বানায় বাড়ী থাকতে-রে সর্বক্ষণ ।।
ওরে ভেবলা মন, তোর দেহে বিশ্বজগৎ ভাবছিস কি কখন?


দেহে তোর পর্বতশৃঙ্গ আছে গিরি-খাদ-
উপত্যকার বন-বাদাড়ে পাতছে শত ফাঁদ;
নিত্য নতুন সৃজন করে বসত কোটি প্রাণ-
জীবন-চক্রে বেঁচে থাকতে দিচ্ছে কত জান।
তারও মাঝে দেহ-বান্ধব বাস করে সুজন ।।
ওরে ভেবলা মন, তোর দেহে বিশ্বজগৎ ভাবছিস কি কখন?


দেহ খাঁচার বাহির-ভিতর শিরা-উপশিরায়-
অণুজীবের বসত-বাড়ী থাকছে গিরায়-গিরায়;
পরবাসী সেই জীবেরাও বাঁচতে করে লড়াই
কি রঙিন দেহ খানা নিয়ে করছিস বড়াই।
দেহভূমি অসার হ’লে তোর হবে রে মরণ ।।
ওরে ভেবলা মন, তোর দেহে বিশ্বজগৎ ভাবছিস কি কখন?