তুল-তুল কাশফুল
বাতাসে দেয় দোল;
          কেশে ঢাকা কাশকুমারী
          নরম অতুল।


দখিনা মৃদু সমীরণে
নাচে নাচুনি কন্যা;
          রূপের বিচ্ছুরিত
          ঝলকে খুশির বন্যা।


স্রোতস্বিনীর পারে
বিছানো নৃত্য উঠানে;
          ঠমকে ঠমকে দুলিয়া
          নাচে কাশোদ্যানে।


যৌবনাবতীর দেহ বল্লভে
রূপসী কাশফুল;
          প্রেমিক-যুগলে
          বিমোহিত হইয়া আকুল-


তাহার ভাঁজে-ভাঁজে
লুকিয়ে রাখা মন,
          একান্ত আপন করে
          জড়ানোর শুভক্ষণ।


কাশকুমারী কাশফুল
থাকে কাশোদ্যানে;
          ঢেউখেলা সমীরণে
          প্রেমিক মন-প্রাণে।